রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি সামনে রেখে নভেম্বর মাসে রাজধানী ঢাকাসহ জেলা ও মহানগরে নতুন করে গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
কর্মসূচির মধ্যে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ জাঁকজমকভাবে পালন করা হবে। এ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা ও মহানগরে ১০ দিনের কর্মসূচি থাকবে। ঢাকায় বড় আকারে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা হবে। ৭ নভেম্বর কেন্দ্রিক কর্মসূচির পর অবস্থা বুঝে সাংগঠনিক কর্মসূচির গতি বাড়ানো-কমানো হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে ঘোষিত সংস্কার কর্মসূচি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবির বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রে নতুন করে কোনো ধরনের সংকট বা জটিলতায় পড়ুক—এমন পরিস্থিতি সতর্কভাবে এড়িয়ে চলার অবস্থান প্রকাশ করেন। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ প্রশ্নে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতির বিষয়ে সরকার তো বিএনপির কাছে কোনো মতামত চায়নি। ছেলেদের কথায় বিএনপিকে সাড়া দিতে হবে কেন?
লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।