ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বৈরিতা দীর্ঘ দিনের। ইসরায়েলি নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ থেকে ফিলিস্তিনিদের বাঁচাতে বছরের পর বছর যুদ্ধ করে আসছে গোষ্ঠীটি। আর সেজন্য তাদের অনেক সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন অনেক শীর্ষ নেতা। সর্বশেষ ইসরায়েলি গুপ্তহত্যার শিকার হলেন হামাসের বর্তমান প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
আজ বুধবার সকালে ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জানায়, নিয়া যে ভবনটিতে অবস্থান করছিলেন সেখানে হামলার ফলে একজন দেহরক্ষীসহ হানিয়া নিহত হন।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী বা রাষ্ট্র হানিয়ার হামলার দায়স্বীকার করেনি। তবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধসহ দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক থাকার কারণে ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েলই এই হামলায় জড়িত রয়েছে।
সর্বপ্রথম হামাসের বড় নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ১৯৯৬ সালে। সে বছর জানুযারিতে গোষ্ঠীটির সামরিক প্রধান ইয়াহিয়া আয়াশকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হত্যা করে ইসরায়েল।
এরপর ২০০৪ সালের মার্চে হামাসের আধ্যাত্মিক নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ ইয়াসিন ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান। পরের মাসেই ইয়াসিনের উত্তরসূরী ও প্রতিষ্ঠাতা আবদেল আজিজ আল রানতিসিকে হেলিকপ্টার থেকে মিসাইল ছুড়ে হত্যা করে ইসরায়েল।
২০ বছর পর চলতি বছর জানুয়ারিতে লেবাননের বৈরতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় প্রাণ হারান হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সালেহ আল আরুরি। আর আজ ৩১ জুলাই বুধবার গুপ্তহত্যা করা হয়েছে বর্তমান রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া।