পাসপোর্ট আইনের মামলায় এক নারী আসামির সঙ্গে এক শিশুকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কারাগারটিতে শিশুর সংখ্যা হলো ছয়জনে।
তবে মায়ের সঙ্গে তারা অনেকটা বন্দী দশায় থাকলেও, তাদের মানসিক বিকাশ কিংবা বিনোদনের কিছু ব্যবস্থা আছে কারাগারে।
গত শনিবার (৫ অক্টোবর) ভারতে অনুপ্রবেশের সময় স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচ নারী-পুরুষ মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে তাদের আটক করে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে পতাকা বৈঠক করে বিজিবি তাদের ফিরিয়ে আনে।
পর রোববার পাসপোর্ট আইনের মামলা দিয়ে পাঁচজনকে হবিগঞ্জ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
আটকদের মধ্যে হলেন বানিয়াচং উপজেলার বিথঙ্গল গ্রামের দীপেশ দাসের স্ত্রী সতী দাস (২৭)। সীমান্তে আটকের সময় তার সঙ্গে রাই দাশ নামে দুই বছরের কন্যা শিশু। আদালত শিশুটি দুগ্ধপোষ্য বিধায় তাকেও মায়ের সঙ্গে কারাগারে নেওয়ার আদেশ দেন।
এদিকে, সতী দাসের সঙ্গে আটক আরও দুই নারীর সঙ্গে দুটি শিশু সন্তান থাকলেও তাদের বয়স দুই বছরের বেশি হওয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে তাদের স্বজনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রাই দাসসহ ছয়জন শিশু মায়ের সঙ্গে কারাগারে আছে। তাদের জন্য প্রতিদিন ডিম ও দুধ বরাদ্দ থাকে। শিশুদের মাকে খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রেও আলাদা যত্ন নেওয়া হয়। কারাগারের মায়েরা অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে ওয়ার্ডে থাকলেও তাদের স্থানটিকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, বন্দী মায়েদের সঙ্গে তারাও অনেকটা বন্দী দশায় থাকলেও, তাদের মানসিক বিকাশ কিংবা বিনোদনের কিছু ব্যবস্থা আছে কারাগারে।
জেলের ভেতরে শিশুদের জন্য প্লেপ্যান, এলিফ্যান্ট দোলনা, ইয়ো ইয়ো ফিশ, ডিয়ার রাইডার, মিকি রাইডার, তিন চাকার গাড়ি, প্লাস্টিকের ঘোড়া, শিশুতোষ গল্পের বই ও অন্যান্য খেলনা সামগ্রী রাখা একটি পার্ক তৈরি করা আছে।