হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, সিলেটকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য সবাইকে একত্রিত হতে হবে।এখন সিলেটের ব্যাপারে কোনো আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি শুনা যাবে না। শোনা উচিত হবে না।সিলেটকে রক্ষা করার জন্য সবাই এক সাথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এলাকার নেতারা যখন মন্ত্রী হন তখন দেখা যায় তাদের শ্বশুড় বাড়ি সিলেটের বাহিরে থাকে। যার কারণে শ্বশুড় বাড়ির উন্নয়ন করতে করতে আর সিলেটের কথা তো মনেই থাকে না। আমি ভাই মন্ত্রী হই নাই। এমপি হিসেবে এলাকায় বিয়ে করেছি। এজন্য আমার এলাকার মানুষ বেশ শান্তিতে আছে।
শুক্রবার(২১জুন) দুপুর ১২টার দিকে সিলেট নগরীর কিশোরী মোহন(বালক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণকালে এ মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের এই অবস্থায় আমি দূরে থাকতে পারি না। নিজের সামর্থ্য নিয়ে আজকে চলে আসছি এই জায়গায়। চেষ্টা করবো মানুষের কাছে এটা তুলে ধরতে কি অবস্থা আছেন মানুষ। আগামী রোববার জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর আমার বক্তব্য রয়েছে। আমি ওইখানে বন্যার ব্যাপারে কথা বলবো। যদিও আমার জেলাটা একেবারে সাইটে পড়েছে। তারপরও সিলেট-সুনামগঞ্জের পক্ষে আমি কথা বলবো, নির্বিঘ্নে কথা বলবো ও প্রেশার দিয়ে কথা বলবো। যে এটা এভাবে চলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের উন্নয়নে জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সহ সিলেটের নেতারা নিজেদের বাইরে চিন্তা করতে পারি না।যদি চিন্তা করতে পারতাম তাহলে ৬ লেন হচ্ছে সারা বাংলাদেশের শেষে হচ্ছে আমাদের।কিন্তু এখনো আমাদের ৬ লেনের কাজ শেষ হয়নি।আমরা ইতিমধ্যে কয়েকজন অর্থমন্ত্রী পেয়েছি। আমাদের অর্থমন্ত্রীর মাধ্যমে টাকা ছাড় হয়েছে সব লেনের।সব লেন হয়েছে।কিন্তু আমার এলাকায় ৬ লেন হয় নাই।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বন্যার্ত মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জাবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এখন এটা তো দলীয় সিদ্ধান্ত। আমি তো আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে আলাদা আসছি। এখান আমার মনে হয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ যারা তারাই এই সমস্যাটা সবার সামনে তুলে ধরতে পারবে ব্যাপকভাবে। কি পরিমাণ আক্রান্ত হয়েছেন।ইতোমধ্যে সিলেটে দূযোর্গ ব্যবস্থা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এসেছেন। আমার একটা বিশ্বাস এখানে যারা স্থানীয় নেতৃবৃন্দ যার যে এলাকা বা উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এটা যদি ভালো করে তুলে ধরলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চিত একটা সমাধান বের করে দেবেন বলে আমার বিশ্বাস।
এসময় ব্যারিস্টার সুমনের সাথে উপস্থিত ছিলেন এরশার্দ আম্বিয়া ফাউন্ডেশন ও ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান মো: আহসান হাবীব, ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সম্রাট আহমদ, প্রিন্সিপাল নিজামুল হক চৌধুরী, ব্যাংকার আলী হোসেন কামালী, ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম আহমদ, আব্দুল হামিদ প্রমুখ।