রাশিয়ার সঙ্গে ভিসা চুক্তি স্থগিত করতে সম্মত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। গত বুধবার (৩১ আগস্ট) চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। এই পদক্ষেপে রুশ নাগরিকদের জন্য ইউরোপে প্রবেশ আরও কঠিন ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।দুই দিনব্যাপী ওই বৈঠক শেষে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেফ বোরেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন-রাশিয়া ভিসা চুক্তির সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশে সম্মত হয়েছি।তিনি বলেন, এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মাধ্যমে ইস্যু করা নতুন ভিসার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাবে।
তবে বৈঠকে মতবিরোধের কারণে রাশিয়ার ওপর পুরোপুরি ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেনি ইইউ। ইউক্রেন এবং কয়েকটি সদস্য দেশ রাশিয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার দাবি জানলেও ফ্রান্স-জার্মানির মতো কিছু দেশের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি
বোরেল বলেছেন, জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে রাশিয়া থেকে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রবেশ যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি প্রতিবেশীদের জন্য একটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা অনেক রুশ নাগরিককে অবসর ও কেনাকাটার জন্য ভ্রমণ করতে দেখেছি, যেন ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধই চলছে না।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১০ লাখের বেশি রুশ নাগরিক ইউরোপ ভ্রমণ করেছেন। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্দার গ্লুশকো বলেছেন, ইইউ নিজের পায়ে গুলি করছে এবং এই পদক্ষেপের মোক্ষম জবাব দেওয়া হবে।পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশ মস্কোর ওপর আরও বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইইউর পাঁচ সদস্য দেশ ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ড এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা আসন্ন জাতীয় নিরাপত্তা সমস্যাগুলো সমাধানে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।তবে ফ্রান্স ও জার্মানি যৌথ বিবৃতিতে সতর্ক করেছে, ‘সুদূরপ্রসারী বিধিনিষেধ’ রাশিয়াকেই ভুক্তভোগী হিসেবে উপস্থাপন এবং ভবিষ্যৎ রুশ প্রজন্মকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স