সোমবার, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
No menu items!
Call for ad
Homeবাংলাদেশমানসম্মত এভিয়েশন সেবার জন্য আইসিএও’র সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

মানসম্মত এভিয়েশন সেবার জন্য আইসিএও’র সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানসম্পন্ন বিমান চলাচল পরিষেবা ও উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে আজ আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) কারিগরি সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ আশা করে, আইসিএও’র মান অনুযায়ী এভিয়েশন নেভিগেশন পরিষেবা প্রদানে ও বাংলাদেশে নিবন্ধিত বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে আইসিএও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে।আইসিএও কাউন্সিলের সভাপতি সালভাতোর সায়াচ্চিতানো ও আইসিএও মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালাজার গোমেজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় প্রধানমন্ত্রী এ সহযোগিতা চান।বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, বৈঠককালে শেখ হাসিনা আইসিএও’র মান বজায় রেখে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আইসিএও বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হবে পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্তকারী একটি বিমান চলাচল কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে সরকার সে অনুযায়ী তাদের বিমানবন্দরের উন্নয়ন করছে। আর সেজন্য তিনি এ ব্যাপারে আইসিএও’র সহায়তা কামনা করছেন।
আইসিএও কাউন্সিলের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে এভিয়েশন সেক্টরের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আইসিএও এ খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের চমৎকার উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে সালভাতোর সিয়াচিটানো বলেন, এই টার্মিনালটি সুন্দর, যা বিমান যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। তিনি আরো বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে প্রধান কাজ।’ এ প্রসঙ্গে আইসিএও কাউন্সিলের সভাপতি কানেক্টিভিটি উন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পরিবেশ রক্ষায় জোর দিচ্ছে। সরকার পরিবেশ রক্ষায় খুবই সতর্ক এবং বাংলাদেশ খুব কম পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে। অথচ তা সত্ত্বেও দেশটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দল আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৮৫ সাল থেকে বৃক্ষরোপণ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালু করেছিলেন।এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ’র চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এইরকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপণ -
advertise

সর্বাধিক পঠিত