নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বুকে পাথর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনায় তাঁর উন্মাদ ও পাগল হয়ে যাওয়ার কথা। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তিনি ন্যূনতম সম্মান পাননি। তারপরেও হতাশ না হয়ে বাংলাদেশকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের এডিপিভূক্ত ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং দফতর ও সংস্থা প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। তাঁর কাজকে এগিয়ে নিয়ে সফল জায়গায় পৌঁছে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব।তিনি আরো বলেন, নেতৃত্ব একটি বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব পাব কিনা! একজনের পর, একজন আসবেন। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব কখনও আসবে কি?
বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের ও শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দেশ পরিচালনায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পাকিস্তান ও ভারত থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে- উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাঝখানে দেশ পরিচালনার অবস্থা আপনারা জানেন। নেতৃত্বের কারণে দেশ এগুতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী টার্গেট নির্ধারণ করেছেন। সে টার্গেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে সচেষ্ট থাকতে হবে।উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে আরএডিপিতে সাতটি প্রকল্প সমাপ্ত করেছে। সমাপ্ত প্রকল্পগুলো হলো-জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ‘নদী দূষণ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং অন্যান্য দূষণ থেকে ৪৮ নদী রক্ষা ও নদীর তথ্য-ভান্ডার তৈরি ও সমীক্ষা প্রকল্প’; ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট এর মাদারীপুর শাখা স্থাপন; ধানুয়া-কামালপুর স্থলবন্দর উন্নয়ন, বাল্লা স্থলবন্দর উন্নয়ন, বিলোনিয়া স্থলবন্দর উন্নয়ন; বিআইডব্লিউটিএ’র ‘ঢাকা-লক্ষীপুর নৌপথের লক্ষ্মীপুর প্রান্তে মেঘনা নদী ড্রেজিং এর মাধ্যমে নাব্যতা উন্নয়ন এবং মোংলা বন্দরের জন্য সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন।নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভূক্ত, চারটি নিজস্ব অর্থায়নে ও একটি স্কিম প্রকল্প। এজন্য বরাদ্দ পেয়েছে ৯ হাজার ৯শ ৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এডিপিভূক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৪ হাজার ৭শ ৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার ২শ ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এডিপিভূক্ত ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দু’টি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) একটি, নৌপরিবহন অধিদফতরের একটি, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের একটি এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীর একটি প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চারটি প্রকল্প। একটি স্কিম প্রকল্প-পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিং।আরো উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ৪শ ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আরএডিপিভূক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৫শ ২৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৮শ ৭৫ কোটি টাকা।প্রতিমন্ত্রী পরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পায়রা বন্দরের খসড়া মাস্টারপ্ল্যান উপস্থাপন সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহম্মেদ মোস্তফা, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।