বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ফের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সিলেটবাসী। শহর কিংবা গ্রামে লোডশেডিং হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও হতাশা।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানান, চাহিদার সাথে সরবরাহের ঘাটতি থাকায় শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ লোডশেডিং হচ্ছে। অথচ, আগে লোডশেডিং হতো মাত্র ২০ ভাগ। সিলেট জোনের ৮টি গ্রিডে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫৯৩ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সরবরাহ ছিল ৩৯৮ মেগাওয়াট। প্রধান প্রকৌশলী জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চেষ্টা চলছে। আগামী মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তার আশা।সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর জেনারেল ম্যানেজার দিলীপ চন্দ্র চৌধুরী জানান, ৮টি উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল ৮০ মেগাওয়াট। সময়ে সময়ে চাহিদা ও সরবরাহের তারতম্য ঘটায় গ্রাহকরা দুর্ভোগের শিকার হন বলেও জানান তিনি।এদিকে, জাতীয় গ্রিডে আকস্মিক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর টানা লোডশেডিং এর মধ্যেই মেরামত ও সংস্কার কাজের জন্য টানা ৯-১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধের ঘোষণায় গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ।প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে গত জুলাই মাস থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সময়সূচি নির্ধারণ করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তখন সিলেট অঞ্চলেও দিনে দুই-তিন ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। গত ৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিডে আকস্মিক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর সিলেটে প্রতিদিনই ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেট অঞ্চলের কয়েক লাখ গ্রাহক।
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ফের দুর্ভোগে সিলেটবাসী
0
105
Previous article
Next article
এইরকম আরও