বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দুই উপজেলার ১৪৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট, বাক্স ও সীলসহ সকল নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌছে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার নির্বাচনে বানিয়াচং উপজেলায় ১০৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টি ও আজমিরীগঞ্জে ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। সুষ্টু ও শান্তিপুর্ণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপর ভূমিকা পালন করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন প্রার্থী। তারা হলেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী (মোটরসাইকেল), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মাস্টার (ঘোড়া) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান (আনারস)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৮ জন। তারা হলেন, প্রিয়তোষ রঞ্জন দেব (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মোঃ আসিক মিয়া (তালা), সাংবাদিক এস.এম সুরুজ আলী (মাইক), ফারুক আমীন (উড়োজাহাজ), সৈয়দ নাছিরুল ইমাম (টিয়া পাখি), আশরাফ হোসেন খান (চশমা), কৃষ্ণ দেব (টিউবওয়েল), তাফাজ্জুল হক (বই)। এছাড়া ওই উপজেলায় মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ জন প্রার্থী। তারা হলেন, জাহেনারা আক্তার (প্রজাপতি), মুক্তা রানী দাশ রিয়া (ফুটবল) ও শিউলি রানী দাস (কলস)। বানিয়াচং উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১০৬টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৪৪টি কেন্দ্র। সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে মাঠ থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে ৬৪১ জন পুলিশ, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন আনসার সদস্য ও ২ প্লাটুন রাব সদস্য। এই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৭২ হাজার ৬শ ১০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার হলেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩১জন ও পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭৯ জন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান (আনারস), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিক্ষানুরাগী আকবর হোসেন (ঘোড়া), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া (কাপ-পিরিচ), শিবপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদার (মাছ), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ লোকমান মিয়া (দোয়াত-কলম) ও ডাঃ রেজাউল করিম (মোটরসাইকেল)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন প্রার্থী। তারা হলেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হীরেন্দ্র পুরকায়স্থ (বই), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাজাহান মিয়া (টিয়া পাখি), উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহিদ হাসান জীবন (চশমা), উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিলোয়ার হোসেন মিলু (তালা), কালীপদ পাল (টিউবওয়েল), আব্দুল জলীল (বৈদ্যুতিক বাল্ব) ও পল্লী চিকিৎসক ডাঃ হারুনুর রশীদ (মাইক)। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন। তারা হলেন, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সীমা রাণী সরকার (প্রজাপতি), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. রোকসানা আক্তার শিখা (হাঁস) ও মাহমুদা আক্তার রেফা (ফুটবল)। এই উপজেলায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৪৩টি। এর মধ্যে ২৩টি কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন ২৮৪ জন পুলিশ সদস্য, আনসার-পিসি ৪৩, এপিসি-৪৩ ও সাধারণ পুরুষ ২৫৮ জন ও মহিলা ১৭২ জন। এছাড়া ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ২ প্লাটুন র্যাব সদস্য উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে। একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলাটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৯৪ হাজার ৪৮২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৮হাজার ৭২৫ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ হাজার ৩০২ জন।