রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চাওয়া বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের সামনে থেকে সরে গেলেন। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরে যান তারা।
তবে এমন সময় বিক্ষোভকারীদের একটি দল বঙ্গভবনের সামনে থাকা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। হুড়োহুড়িতে কয়েকজন আহত হন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় চার ঘণ্টা অবস্থান শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরে যান জুলাই-আগস্টে আহত ছাত্রদের সংগঠন রক্তিম জুলাইয়ের সদস্যরা।
চলে যাওয়ার আগে রক্তিম জুলাইয়ের নেতৃত্বে থাকা সালমান হোসাইন ও সাইফুদ্দিন বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। তারা শহীদ মিনারে সমাবেশ করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আমাদেরও তারা অনুরোধ করেছেন।
তারা বলেন, আমরা আজকের মতো চলে যাচ্ছি। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করলে আবারো আসব।
এদিকে বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এসব দাবি মানা না হলে পুনরায় রাজপথে নামার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
রাত পৌনে ৯টার দিকে এই প্রতিবেদক জানান, বঙ্গভবনের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য সেখানে অবস্থান নিয়েছেন।