সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মিছিল চলাকালে গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাবের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৮ জুলাই) সকালে সাংবাদিক এটিএম তুরাবের সদস্য সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩৪ জনের পরিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১০ লক্ষ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী নিহত ব্যক্তিদের পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজ-খবর নেন। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অশ্রু সজল হতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
সাংবাদিক এটিএম তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বড় ভাই আবুল হাসান মো: আজরফ (জাবুর আহমদ) এসময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাংবাদিক তুরাব নিহতের স্থানকে সাংবাদিক তুরাব চত্বর নামকরণের দাবী জানান।
প্রধানমন্ত্রী তাদের সবার কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং তাদের দাবী-দাওয়া পুরণের আশ্বাস দেন। এসময় অশ্রুসজল প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমি আপনাদের বেদনা বুঝি। আমাকে প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে চলতে হয়। বাপ-মায়ের লাশটাও দেখতে পারিনি, দেশে ফিরতে পারিনি। ৬ বছর পর দেশে এসেছি। তারপর যখন এসেছি সারা দেশ ঘুরেছি। কারণ আমার বাবা বলত, দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে হবে। আমি সেই কাজটাই করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের মতোই একজন। বাবা-মা ভাই হারানো। কাজের আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আর আমি আপনাদের পাশে আছি। আমার চেষ্টা থাকবে এই খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
এ সময় গণভবনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।