কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিংবদন্তিতুল্য গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে তার প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়েছে।
আজ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষ গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ১১ থেকে ১২টা পর্যন্ত রাখা হয়। এসময় মানুষের ঢল নামে তাকে একবার শ্রদ্ধা জানাতে।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ আবৃতি সংস্কৃতি পরিষদসহ দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন সংগীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। এসময় তিনি বলেন, গাজী ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল অন্য রকম। তার লেখা হাজার হাজার গানের মধ্যে ৬-৭ হাজার গান আমি নিজেই গেয়েছি। আমাদের মধ্যে একটা টিম ওয়ার্কিং ছিল।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারে মেয়ে দিঠী আনোয়ার বলেন, যারা আমার বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, তাদের প্রতি আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো। তার বাবাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এরপর গাজী মাজহারুল আনোয়ারেরর মরদেহ নেয়া হয় এফডিসিতে। সেখানে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম নামাজে জানাজা। সেখানে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা তাকে শ্রদ্ধা জানান। বাদ আসর গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ নেয়া হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় জানাজা। এরপর বনানী কবরস্থানে তার মা খোদেজা বেগমের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
রোববার সকাল ৭টায় নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।