সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় মডেল মিশফাক আহমদ মিশু আর নেই। শনিবার ভোরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। এক পুত্র সন্তানের জনক মিশুর স্ত্রী মাহজাবীন জহুরা কাকনও মডেল ও নৃত্যশিল্পী। তার বাসা সিলেট নগরের রায়নগর এলাকায়।সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত জানান, শুক্রবার রাতেও একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশু। বাসায় ফেরার পর শনিবার ভোরের দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই মিশু মারা যান বলে ধারণা রজতের।
আজ বাদ মাগরিব হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান রজত।সিলেট এমসি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মিশুর ৯০ দশকে মডেল হিসেবে টেলিভিশন মিডিয়ায় আবির্ভাব। তিনি বেশকিছু বিজ্ঞাপনে মডেলিংয়ের পাশাপাশি টিভি নাটকেও অভিনয় করেন। টেলিভিশনে আসার আগে থেকেই মঞ্চ নাটকের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন মিশু। তিনি লিটল থিয়েটার সিলেটের নাট্যকর্মী।২০১৬ সাল থেকে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতির দায়িত্বপালন করে আসছেন মিশু। এছাড়া তিনি সিলেট মহানগর জাসদের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।করোনা সংক্রমণ এবং সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় সিলেটে সংস্কৃতিকর্মীদের ‘কলের গাড়ি’র মাধ্যমে খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন মিশু। তার মৃত্যুতে সিলেট ও লন্ডনের বাঙালি কমিউনিটি জুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে। মৃত্যু সংবাদ শোনার পর থেকেই তার বাসায় ভিড় করছেন বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ।