সিলেটে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) আদালতে আরও দুটি মামলা হয়েছে। একটি গোলাপগঞ্জে ছাত্র-জনতা হত্যা ও অপরটি দক্ষিণ সুরমায় আন্দোলনকারীদের উপর হামলা-গুলির ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন (৪ আগস্ট) গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পুলিশ-বিজিবির হামলা-গুলি এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় হতাহতের ঘটনায় সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ২ নং আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন গোলাপগঞ্জের রায়গড় গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ার মিয়া।
মামলায় সিলেট-৬ আসনের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর কাদির সাফি চৌধুরী এলিম, ঘটনার সময়ের গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মাছুদুল আমিন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল ও জাকারিয়া আহমদ পাপলু।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটিতে ৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।
অপরদিকে, ৫ আগস্ট দুপুরে দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে গোলাপগঞ্জের কানিশাইলের বাসিন্দা মো. রফিক উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।
মামলার প্রধান আসামি হলেন সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব।
উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান, শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম ও আবু জাহিদ সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুফতি।
এছাড়া জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতাকে আসামি করা হয়েছে।