কাঁঠালের প্রতিটি কোয়া যেন অমৃত। যারা কাঁঠাল পছন্দ করেন তারা জানেন এর তৃপ্তি কোথায়। গ্রীষ্মের বাজারে আম, লিচুর পাশাপাশি কাঁঠালের চাহিদাও তুঙ্গে থাকে। কাঁঠালের এমন কোনো অংশ নেই যা কাজে লাগে না। যেমন ধরুন এর বিচি। এগুলো কী ফেলে দেন? উত্তর হ্যাঁ হলে, এর চেয়ে বোকামির আর কিছু হতে পারে না।
কাঁঠালের কোয়ার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় এর বীজ। মটর-ডাল হোক কিংবা নিরামিষ তরকারি, কাঁঠালের বীজ দিলে স্বাদটাই বদলে যায়। তাছাড়া ডালের সঙ্গে কাঁঠালের বীজ ভাজা কিন্তু মন্দ নয়। কাঁঠালের বীজ শুধু সুস্বাদু, তা নয়। এর স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে।
শরীরের জন্য কতটা কার্যকরী এই বীজ?
ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন— সব আছে কাঁঠালের বিচিতে। সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে এই বীজ খাওয়া অতি জরুরি। ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই থাকে কাঁঠালের বীজে। তার প্রভাবে কোলেস্টেরল কমে। সঙ্গে হজমের সুবিধাও হয়। হজম প্রক্রিয়া ভালো হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে কাঁঠালের বীজ।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও এই বীজ বেশ উপকারী। এতে উপস্থিত ফাইবার খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি বাড়তে পারে না।
চোখের জন্যও উপকারী কাঁঠালের বীজ। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে তুলতেও কাঁঠালের বীজ কার্যকরী। চোখের সমস্যা থাকলে কাঁঠালের বীজ খেতে পারেন। উপকার পাবেন।