সুনামগঞ্জের পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে সবখানে রেখে গেছে ধ্বংসের ক্ষতচিহ্ন। প্রতিটি গ্রামীণ সড়ক পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। পানির প্রবল স্রোতে সড়কের পিচ ওঠে ইটের কংক্রিট বের হয়ে আছে।
সরেজমিনে বুধবার (২৬ জুন) সকালে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর, অচিন্তপুর বৈঠাখালী বড়ঘাট কুতুবপুর সড়কে গিয়ে এমন ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। সেখানে ৮ কিলোমিটার সড়কের ৬ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর জানায়, বন্যার তাদের ৩০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬টি সড়কে ৭০টি ব্রিজ কালভার্ট সেতুর সংযোগসড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। এক কিলোমিটার সড়ক ওয়াশ আউট হয়ে গেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, বন্যায় সিলেট সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক, তাহিরপুর বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ সড়কের ৫ কিলোমিটার আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক সড়কের গার্ড ওয়াল নষ্ট হয়ে গেছে। সড়কের ক্ষতি চার কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সুরমা, যাদুকাটা, চলতি রক্তি, বৌলাইসহ সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করি পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।