আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, শিগগির কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্বাহী বিভাগসহ জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে।বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। এসময় তিনি এ কথা বলেন।সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
তিনি জানান, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল দ্রুতই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।তিনি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হবে। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা একটার দিকে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।রাষ্ট্রপ্রধানকে ভোটের প্রস্তুতি জানাতে ও তফসিলে সম্মতি নিতে এর আগে পৌনে ১২টার পর বঙ্গভবনে যান সিইসি ও চার কমিশনার।রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচনের প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা জানায় নির্বাচন কমিশন। সেই ধারাবাহিকতায় দুপুরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যান কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।বৈঠকে শেষে সিইসি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। সংবিধানের বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্ধারিত সময়েই ভোটের আয়োজন করা হবে। এজন্য দ্রুতই তফসিল ঘোষণা করা হবে।সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সভার আয়োজন করবে কমিশন। ওই সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হতে পারে। একইসঙ্গে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হতে পারে।এরপর বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে সিইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন।সংবিধান অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হবে ইসিকে। সেই ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে।