লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য,সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য,সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা পৃথক বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করেন তিনি।বিবৃতিতে এ কে এম শাহজাহান কামাল ও আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।এদিকে, এই দুই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পৃথক বিবৃতিতে তিনি এ কে এম শাহজাহান কামাল ও আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।এর আগে আজ শনিবার ভোরে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহজাহান কামাল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) থেকে ১৯৭৩ সাল, ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
একই হাসপাতালে প্রায় একই সময়ে মারা যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন।আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দীর্ঘদিন সভাপতি পদে ছিলেন।