মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
No menu items!
Call for ad
Homeবাংলাদেশদেশের উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পর আজ নয়াদিল্লি থেকে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৮ মিনিটে (আইএসটি) ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে।ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া সিং প্যাটেল বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।ফ্লাইটটি বিকাল সাড়ে ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।এর আগে, ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি পৌঁছেন, এখানে তিনি তাঁর ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন।দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা স্মারক তিনটি হল: ‘কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময়’ এবং ‘দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের সহজীকরণ’।জি-২০ সম্মেলনে ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যত’ এর অধীনে পৃথক দুটি ভাষণ দেন।‘এক পৃথিবী’ এবং ‘এক পরিবার’ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারীর পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা তুলে ধরেন।এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন।জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন আজ ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সাথে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেন। সম্মেলনের শেষ দিনে ‘জি-২০ নয়া দিল্লি নেতাদের ঘোষণা’ গৃহীত হয়।সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং এই সভাপতিত্বের মেয়াদে বাংলাদেশসহ মোট নয়টি দেশকে জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এইরকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপণ -
advertise

সর্বাধিক পঠিত