শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
No menu items!
Call for ad
Homeখেলাধূলানাটকীয় জয়ে ইউএস ওপেনের ফাইনালে মেসির মায়ামি

নাটকীয় জয়ে ইউএস ওপেনের ফাইনালে মেসির মায়ামি

৬৭ মিনিট পর্যন্ত ২-০ তে পিছিয়ে ছিল ইন্টার মায়ামি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত সময়ে ২-২ এ সমতা ফেরায় লিওনেল মেসির দল। এরপর বাড়তি সময়ের খেলার শুরুতেই লিডও নেয় তারা। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ১১৪তম মিনিটে যুযা কিয়েবোর গোলে সমতায় ফেরে সিনসিনাটি। তাতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ গোলের ব্যবধানের জয়ে প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালের টিকিট কেটেছে মায়ামি। লুসিয়ানো অ্যাকোস্তার ১৮ মিনিটে করা গোলে প্রথমার্ধ শেষে ১–০ গোলে এগিয়ে ছিল সিনসিনাটি। ৫৩ মিনিটে ব্রান্ডন ভাসকুয়েজের গোলে সেটাই ২–০। তখনও ম্যাচে যেন নিষ্প্রভ মায়ামি আর মেসি। কিন্তু সেমির নাটকের চিত্রনাট্যে বোধহয় গল্পকার সবটা রোমাঞ্চ তুলে রেখেছিলেন শেষের মিনিট বিশেকের জন্য!মায়ামির ফেরার গল্পের শুরুটা ৬৮তম মিনিটে। মাঠের একদম বাঁ প্রান্তে ফ্রি কিক পেয়েছিল তারা। মেসির ফ্রি কিকটা বক্সে একদম জটলার মধ্যে ফেলেছিলেন। বল ভালো, কাম্পানার একদম মাথার ওপর! একটু লাফিয়ে হেডে গোল করেন ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড। তাতেই যেন ম্যাচে প্রাণ ফেরে!

কিন্তু শুরুর ৯০ মিনিটে আর গোলের দেখা পায়নি মায়ামি। তবে ভাগ্যের চাকা ঘুরে যোগ করা সময়ে। শেষ বাঁশি বাজতে আর সর্বোচ্চ মিনিট দুয়েক বাকি। ঠিক তখনই বাঁ প্রান্ত থেকে নিখুঁত ক্রস বাড়ালেন মেসি। বলটা বাতাসে ভাসতে ভাসতে ইন্টার মায়ামি ফরোয়ার্ড লিওনার্দো কাম্পানার মাথায় এমনভাবে গিয়ে পড়ল যেন প্লেটে তুলে দেওয়া গোল!কাম্পানাকে শুধু ঠিকঠাকমতো হেডটা করতে হয়েছে। ব্যস, সেই গোলেই সমতায় ফেরে মায়ামি। স্কোরকার্ডে গোলদাতার পাশে কাম্পানার নাম লেখা থাকলেও ওই গোলে মেসিকেই মনে রাখবেন সবাই। ২–২ গোলে মায়ামি সমতায় ফেরার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।৯৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাশির পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শটে গোল করে মায়ামিকে ৩–২ গোলে এগিয়ে দেন জোসেফ মার্তিনেজ। কিন্তু নাটকীয় এই ম্যাচে শেষ অঙ্কের চিত্রনাট্য তখনও শেষ হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে পরের অর্ধে ১১৪ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বল ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেননি মায়ামির ডিফেন্ডার। সুবিধামতো জায়গায় বল পেয়ে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল করে ম্যাচের স্কোর ৩–৩ করেন সিনসিনাটির জাপানি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইয়ুয়া কুবো।টাইব্রেকারে সিনসিনাটির হয়ে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন কুবো। মায়ামির হয়ে প্রথম শটটি নেন মেসি। বাঁ পাশের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর সিনসিনাটির সান্তিয়াগো আরিয়াস ও মায়ামির ফাকুন্দো ফারিয়াস দুজনেই লক্ষ্যভেদ করেন। টাইব্রেকারের স্কোরকার্ডে ২–২ গোলে সমতা, সেখান থেকে ৪–৪ এবং তারপর মায়ামির গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার সিনসিনাটির নিক হ্যাগল্যান্ডের শট রুখে দেন। বেঞ্জামিন ক্রেমাশি এসে গোল করে মায়ামিকে টাইব্রেকারে ৫–৪ ব্যবধানের জয় এনে দেন।

এইরকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপণ -
advertise

সর্বাধিক পঠিত