সিলেটে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোরআন শরীফ পুড়িয়ে ফেলার বিষয়টি স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে- আটক দু’জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।এর আগে গত রাতে এ ঘটনায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটে নগরের আখালিয়াস্থ ধানুপাড়া আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ও আশপাশ এলাকায়। হাজার হাজার জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই স্কুল ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে জনতাকে সরিয়ে ওই দু’ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই স্কুলের সামনে কোরআন শরীফ পোড়ানোর দৃশ্য দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এবং কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ওই স্কুলের চেয়ারম্যান নুরুর রহমান ও শিক্ষক মাহবুবুল আলমকে গণপিটুনি দেয়। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিসুর রহমান কামরান ও পুলিশ গিয়ে তাদের জনতার হাত ধরে উদ্ধার করে স্কুলের একটি কক্ষে আটকে রাখেন।এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে রাতে হাজারো জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলের সামনে অবস্থান নেয়। এবং অভিযুক্ত দু’জনের শাস্তির দাবি করেন। এ সময় পুলিশ আটক দুই অভিযুক্তকে নিয়ে থানায় আসতে চাইলে জনতা বাধা দেয়।এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আটক দু’ব্যক্তিকে নিয়ে থানায় চলে আসে। এর আগে জনতা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কেও অবস্থান নিয়েছিলো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা রাত ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোতোয়ালি থানার ওসি আলী মো. মাহমুদ জানিয়েছেন- এ ঘটনায় আটক দু’জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রোববার রাতের ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।