বলিউডের এই প্রজন্মের উঠতি তারকা তিনি। অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশের বছর পাঁচেকের মধ্যেই নিজের জায়গা বানিয়ে ফেলেছেন নিজের দক্ষতায়। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিত্বের জন্যও বেশ জনপ্রিয় সারা। তার ‘পাশের বাড়ির মিষ্টি মেয়ে’র মতো ব্যক্তিত্বের জন্য সারার সঙ্গে নিজেদের মেলাতে পারেন এই প্রজন্মের মেয়েরা।বলিউডের নায়িকা ও তারকা-সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তারকাসুলভ স্বভাব নেই সারার। নবাব বাড়ির কন্যা হওয়া সত্ত্বেও মধ্যবিত্ত বাড়ির মূল্যবোধ নিয়ে বড় হয়েছেন তিনি। মায়ানগরীতে আর পাঁচজন বলিউড নায়িকার মতো দামি ডিজাইনার পোশাকে নয়, একেবারে সাধারণ পোশাকে দেখা যায় সারাকে।কখনও কুর্তা ও পাজামা, কখনও আবার চুড়িদার পরেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন তিনি। সম্প্রতি পোশাকশিল্পী জুটি শান্তনু ও নিখিলের ফ্যাশন শোয়ের র্যাম্পে হাঁটতে দেখা গেল সারাকে। বেইজ রঙের একটি লহেঙ্গায় সেজেছিলেন সারা।এত জনপ্রিয় পোশাকশিল্পীর তৈরি করা দামি পোশাক পরে র্যাম্পে হেঁটেছেন বটে। তবে সারা জানালেন, তার নিজের আলমারিতে নাকি একটিও ডিজাইনার পোশাক নেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারা বলেন, নতুন প্রজন্মের তারকা হিসাবে আমি নিজের পরিচয় ও শিল্পীসত্তা নিয়েই সব থেকে বেশি গর্ব করি। আমার আলমারিতে কোনও ডিজাইনার পোশাক নেই। আমি জানি, এই কারণে প্রথম দিকে অনেকেই আমার বিষয়ে নানা রকম কথা বলেছেন। তবে আমি খুশি এটা দেখেই যে, এখন তারা আমার সঙ্গে নিজেদের অনেক বেশি মেলাতে পারেন।বলিউড অভিনেত্রী হলেও আর পাঁচজনের মতো বস্তুসর্বস্ব তারকা নন সারা। আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল হলেও সাধারণ জীবনযাপন করতেই বেশি ভালোবাসেন তিনি। জমকালো ব্র্যান্ডের ভিড় থেকে বেরিয়ে সাধারণ পোশাক পরে ধরা দেন ক্যামেরায়। বিলাসবহুল গাড়িতে নয়, অটোয় চড়ে বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফেরেন।আবার মুম্বাইয়েই রাস্তার ধারের দোকান থেকে জামাকাপড়ও কেনেন তিনি। ঘুরতেও বেশ ভালোবাসেন তিনি। একাধিক বার গিয়েছেন কেদারনাথে। প্রথম বার সিনেমার শুটিংয়ে, এখন যান সেই জায়গার টানে। লেহ্, লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীরেও একাধিক বার ঘুরতে গিয়েছেন সারা। সম্প্রতি কাশ্মীরে গিয়ে সেখান থেকে অমরনাথ যাত্রাও করেছেন অভিনেত্রী।
‘জরা হটকে জরা বাঁচকে’-এর প্রচারের সময় সহ-অভিনেতা ভিকি কৌশলের সঙ্গে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে গিয়েছিলেন সারা। সেখানে পূজা দেওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে সমাজমাধ্যমে। ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়ে কেন মন্দিরে পা রাখছেন তিনি? ধেয়ে আসে এমন প্রশ্ন। আলোচনা শুরু হয় তার ধর্মাচরণ নিয়েও।এক অনুষ্ঠানে নিন্দকদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে সারা বলেন, আমি খুব মন দিয়ে আমার কাজ করি। আমি আমার দর্শক ও অনুরাগীদের জন্যই কাজ করি। আমার খারাপও লাগবে যদি আপনারা আমার কাজ পছন্দ না করেন। তবে, ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জায়গাটা আমার নিজস্ব।আমি বাংলা সাহিব, মহাকাল মন্দিরেও সেই শ্রদ্ধা নিয়েই যাই, যে শ্রদ্ধা নিয়ে আমি অজমের শরিফে যাই। আমি আমার যাওয়া বন্ধ করব না। যে কোনও ধর্মস্থানের আবহের উপর বিশ্বাস রাখেন সারা। স্রেফ ধর্মের রং দেখে নিজের বিশ্বাসের জায়গায় বদল আনবেন না তিনি, সাফ জবাব দেন নায়িকা।