জেলায় এবছর অনুকূল আবহাওয়ায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,মাঠ ভরা ফসল। এরই মাঝে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। কিন্তু সিত্রাং এর প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয় তাতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বরং বৃষ্টির পানিতে ফসলের উপকার হয়েছে । পোকা মাকড়ের আক্রমণও ছিল কম।ফলে এবার হবিগঞ্জ জেলায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে।হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০হাজার ২০০ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ছেয়ে বেশী ৮৮হাজার ২৫৮ হেক্টর। এর মাঝে স্থানীয় জাতের আবাদ হয়েছে ৭০৩ হেক্টর এবং হাইব্রীড আবাদ হয়েছে ১০৭ হেক্টর। অবশিষ্ট সকল জমিতেই আবাদ হয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান। এ বছর ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোনা আমন (জলি আমন) আবাদ করা হলেও বন্যায় সব নষ্ট হয়ে যায়।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,হবিগঞ্জের হাওর এলাকায় বির্স্তীণ ফসলের মাঠে সবুজ ধানে সোনালী রং ধারন করেছে। মাঠের ফসল দুলছে বাতাসের তালে তালে। যেদিকে চোঁখ যায় সেদিকেই শুধু সবুজের সমারোহ। কৃষকরা স্বপ্ন নিয়ে ফসলের পরিচর্যা করছে । কিছুদিন পরেই তারা নতুন ফসল ঘরে তুলবে । মেতে উঠবে নবান্নের আনন্দে।হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের সানাবই গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন ,এ বছর বন্যায় আউশের ক্ষতি হলেও আগাম আমন রোপন করায় ভালো ফসল হয়েছে। এবার জমিতে আগাছা ও পোকা মাকড়ের আক্রমনও কম ছিল। নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় সারও তেমন প্রয়োজন হয়নি। অন্যান্য বছরের ছেয়ে এবার প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশী ফলন হবে বলে আশাবাদী তিনি। অগ্রহায়ন মাসের আগেই তার জমির ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলেও জানান তিনি।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, আমন ধান পোকার আক্রমণে যেন ক্ষতি না হয় সে বিষয়েও কৃষি অফিস তৎপর রয়েছে।হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরে আলম ছিদ্দিকী জানান, এ বছর নিয়মিত ও পরিমিত বৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমনের ভাল ফলন হয়েছে। পোকা মাকড়ের আক্রমনও তেমন হয়নি। বৃষ্টির পানি থাকলে সারও প্রয়োজন হয় কম। বন্যা পরবর্তী ফসল হিসাবে জমির উর্বরতা শক্তিও থাকে বেশী। আবার উপকূলবর্তী জেলা না হওয়ায় সিত্রাংয়ের আঘাতেও তেমন ক্ষতি হয়নি। ফলে এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে এই জেলায়।
হবিগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলন
0
152
Previous article
এইরকম আরও