ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা পাকিস্তানের। ফাইনালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাবর বাহিনী। জয়ের নেপথ্যে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। দেশকে শিরোপা এনে দিয়েই যেন জনাব দিলেন সব সমালোচনার। সফলতার চাইতে সেরা প্রতিশোধ আর কিইবা হতে পারে? এই জয়ে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বিশ্বকাপে যাবে পাকিস্তান। আর ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান বরাবরই শিরোপার অন্যতম সেরা দাবিদার।ফাইনালের দুই দল আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কোন ম্যাচ না জিতে বাংলাদেশ সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ায় পাকিস্তান ও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডই মুখোমুখি হয় ফাইনালে। হ্যাগলি ওভালে আজ টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ডেথ ওভারে পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৭ উইকেটে ১৬৩ রানেই থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ছন্দে থাকা ফিন এলেনকে প্রথম ওভারেই হারায় নিউজিল্যান্ড। নাসিম শাহের আঘাতে ৬ বলে ১২ রানেই ফিন ফিরে যান। সেখান থেকে ব্ল্যাক ক্যাপসরা ঘুরে দাঁড়াতে চাইলেও বাঁধা হয়ে দাড়ান হারিস রউফ। ডেভন কনওয়েকে ফেরান ভয়ংকর হয়ে উঠার আগেই, ১৪ রানে। ২ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৫১ রান।গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গী করে রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তাদের ৫০ রানের জুটি ভাঙ্গেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ২২ বলে ২৯ রানে গ্লেন ফিলিপস ফিরে যান। তবে আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ১৬ তম ওভারে ৩৮ বলে ৫৯ রান করে তিনি ফিরে গেলে রানের গতি কমে আসে নিউজিল্যান্ডের। শেষ ৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ মাত্র ৩৩ রান। মার্ক চ্যাপম্যান করেন ১৯ বলে ২৫ ও জিমি নিশাম খেলেন ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংস।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ২ ওভারেই পাকিস্তান সংগ্রহ করে ১৯ রান। তবে এর পরেই স্পিনাররা আক্রমণে আসায় শ্লথ হয়ে যেতে থাকে রানে গতি। পঞ্চম ওভারে ব্রেসওয়েলের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরে ফিরেন বাবর আজম। সেখান উঠে দাঁড়াতে চাইলেও ব্রেসওয়েলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান শান মাসুদ। ভরসার প্রতীক হয়ে থাকা রিজওয়ানও ফিরে যান পরের ওভারেই। ২৯ বলে ৩৪ রানে ইশ সোধির শিকার তিনি।
১১.৩ ওভারে ৭৪ রানেই দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যানসহ ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে মাত্র ২৬ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ড কাঁপিয়ে দেন মোহান্মদ নওয়াজ ও হায়দার আলী। ১৬ তম ওভারে ১৫ বলে ৩১ রান করা হায়দার আলিকে ফিরিয়ে ঝড় থামান টিম সাউদি। দুই বল পরেই ফিরে যান আসিফ আলীও। ২৩ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন তখন ৩২ রান।মাঠে ছিলেন তখনো মোহাম্মদ নওয়াজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে জয়ের অন্যতম নায়ক নওয়াজ আজও হঠাৎ পথ হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। শুরুতে হায়দার আলীর পর শেষে সঙ্গী পেয়েছেন ইফতেখার আহমেদকে। দুজনে জয় নিশ্চিত করেই তবে মাঠ ছাড়েন। মোহাম্মদ নওয়াজ অপরাজিত ছিলেন দুই বাউন্ডারি আর তিন ছক্কায় ২২ বলে ৩৮ রানে, ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করা ইফতেখারের রান ১৪ বলে ২৫।