কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের সীমান্তে সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও বহুমানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মধ্য এশিয়ার দেশ দুটির সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে গত বুধবার তিনটি পৃথক ঘটনায় কমপক্ষে দুইজন নিহত হওয়ার পর এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে।জানা গেছে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ দুটি প্রায়ই সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে থাকে। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ইউএসএসআর-এর (সোভিয়েত ইউনিয়নের) পতনের পর থেকে উভয় দেশের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
গণমাধ্যম জানাচ্ছে, দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া সত্ত্বেও গত সপ্তাহের শুরুতে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তা শুক্রবারও অব্যাহত ছিল। উভয় পক্ষই সহিংসতা শুরু করা এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অপরকে দোষারোপ করছে।
শুক্রবার কিরগিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের হামলায় কিরগিজস্তানে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তাজিকিস্তান থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
রেড ক্রসের একটি আঞ্চলিক শাখা জানিয়েছে, সহিংসতা এড়াতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এই সংঘর্ষ দুই দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে তৈরি করেছে।
কিরগিজ সীমান্তরক্ষীরা তাজিকিস্তানকে সীমান্তের এমন অংশে অবস্থান নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে যা এখনও বিতর্কিত অর্থাৎ সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। অন্যদিকে তাজিকিস্তান বলেছে, “কিরগিজ রক্ষীরা উস্কানি ছাড়াই গুলিবর্ষণ করেছে।মধ্য এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে ১ হাজার কিমি (৬০০ মাইল) সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বিতর্কিত। অবশ্য উভয় দেশের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ার। আর তাই মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি শুক্রবার সহিংসতা বন্ধ করার জন্য ‘জরুরি’ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো।বিবিসি বলছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু কিরগিজস্তান বলেছে, তার দুটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। এমনকি হামলায় ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যান ব্যবহার করার অভিযোগও এনেছে দেশটি।অন্যদিকে কিরগিজ বাহিনী ‘ভারী অস্ত্রসহ’ একটি ফাঁড়ি এবং সাতটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাজিকিস্তান।সুত্র: বিবিসি