দক্ষিণ সুরমায় আড়াই বছরেও ২ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ শেষ হয়নি। উপজেলার ঈদগাহ বাজার- পশ্চিম ভাগ- খালোপাড় রাস্তা পাকাকরণ প্রকল্পটি শুরু থেকেই আটকে আছে নানা জটিলতায়। অর্থ বরাদ্দ থাকলেও কবে নাগাদ রাস্তার কাজ শেষ হবে কেউই বলতে পারছেন না। ফলে এ নিয়ে ইউনিয়নের ৪ ও ৮নং ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। কাজ শুরু হয়েও শেষ না হওয়ার যন্ত্রণায় ভূগছেন এলাকার মানুষ।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৫ মার্চ সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২১২৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ঈদগাহ বাজার- পশ্চিম ভাগ- খালোপাড় রাস্তার পাকাকরন কাজের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে বার বার জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি পাকাকরণের দাবী জানিয়ে এলাকার সচেতন নাগরিকরা স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু কোন সময়ই রাস্তাটির উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে দূর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন এলাকার মানুষ।
২০২১ সালে লালাবাজার ইউনিয়নের কৃতিসন্তান সাবেক সচিব জয়নুল বারীর প্রচেষ্টায় ও সাবেক চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবালের সহযোগীতায় লালাবাজার ইউনিয়নের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে এই রাস্তাটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার ফলে দ্রূত এই প্রকল্পটির টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডার শেষে যাবতীয় অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের মাধ্যমে বেশ ঘটা করে রাস্তা উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোাধন করা হয়।
কাজ শুরু হওয়ার পর পরই দেখা দেয় ২০২২ সালের প্রলয়ঙ্কারী বন্যা। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার কাজ। রাস্তায় ও রাস্তার পাশে থাকা নির্মাণ সামগ্রী বানের পানিতে কিছুটা তলিয়ে গেলেও অবশিষ্টগুলো যত্রতত্র অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকে। সেই থেকে আজ অবধি রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। ফলে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মনির আলাপকালে বলেন, ইউনিয়নের মধ্যবর্তী জনপদের বৃহৎ সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম ঈদগাহ বাজার- পশ্চিম ভাগ- খালোপাড় রাস্তা উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করতে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতা প্রদান করা হবে। আমি এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
রাস্তাটির অগ্রগতি সম্পর্কে গত সপ্তাহে পশ্চিম ভাগ গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রকৌশলী শেখ আজিম উর রশীদ এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি রাস্তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন এবং বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষে জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার উন্নয়ন কার্যক্রম অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শুরু করা হবে।