কখনো বালুভর্তি ট্রাকে, কখনো কাভার্ডভ্যানে আবার কখনো পরিবহন বাসে করে আসছে ভারতীয় পণ্য। এবার এমনি এক অভিনব কায়দায় চোরাই পথে আসা প্রায় ১১ লক্ষ টাকার ভারতীয় মখমল কাপড় জব্দ করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিলেটের শাহপরাণ থানার কল্লগ্রাম এলাকায় বাইপাস সড়কে নাবিদ পরিবহন নামের বাস (সিলেট-জ-১১-০৪৩৫) থেকে কাপড় জব্দ করা হয়।
এসময় বাসচালকসহ দুজনকে আটক করে শাহপরাণ থানাপুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আসামপাড়া গ্রামের মৃত সরন আলীর ছেলে মো. সাজ্জাদুর রহমান (২৫) ও একই উপজেলার নিজপাট গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে বাসচালক আব্দুল মান্নান (২৭)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
শুক্রবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়- শাহপরাণ থানাপুলিশ সকাল ৭টার দিকে কল্লগ্রামে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে বাইপাস সড়কে চেকপোস্ট বসায়। এসময় সুরমা গেইট হয়ে মুরাদপুরের দিকে আসা একটি মিনি বাসকে থামার জন্য সিগন্যাল দিলে বাসটি থামে। তখন মিনি বাসের ড্রাইভার ও তার সঙ্গে থাকা সাজ্জাদুর রহমান বাসের ভিতর থান কাপড় আছে বলে জানায়। তবে তাদের আচরণ ও কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় বাসটি তল্লালি করে বেশ কয়েকটি বস্তার ভিতরে ভারতীয় মখমল জাতীয় মোট ২ হাজার ৭৪৪ মিটার কাপড় জব্দ করে। কাপড়গুলো চোরাই পথে ভারত থেকে নিয়ে আসা হয় এবং কৌশলে বাসে করে সিলেটে নিয়ে আসছিলেন চোরাকারবারিরা। এসব কাপড়ের মূল্য ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৬ টাকা।
এছাড়া চোরাই পণ্য বহনের কাজে ব্যবহৃত বাসটি জব্দ করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাসচালক জানায়, কাপড়ের মালিক আটক সাজ্জাদুর রহমান এবং পলাতক মানিক (২৬) ও স্বপন (২৮) নামের দুজন।
পলাতক দুজনকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে, আটককৃত দুজনের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানার এএসআই মো.সোহেল আহমদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের আদালতের নির্দেশে জেলহাজাতে প্রেরণ করে পুলিশ।