শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
No menu items!
Call for ad
Homeবাংলাদেশছুটির দিনেও আশুলিয়ার ১৪০০ কারখানায় চলছে উৎপাদন

ছুটির দিনেও আশুলিয়ার ১৪০০ কারখানায় চলছে উৎপাদন

শ্রমিক অসন্তোষের মুখে নানা অস্থিরতায় সম্মুখীন হয়েছে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া। প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শ্রমিক অস্থিরতায় শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হলেও আজ থেকে শুরু হয়েছে পুরোদমে উৎপাদন।চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি আজ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বলে জানা গেছে।  

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পপুলিশ ১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম। তবে সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এই অঞ্চলের বিভিন্ন খাতের বেশ কিছু কলকারখানা আজও বন্ধ রয়েছে।

শিল্পপুলিশ জানায়, ইতোমধ্যেই বলা চলে শিল্পাঞ্চলের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। গত দুই দিনও এই অঞ্চলের অধিকাংশ পোশাক কারখানা চালু ছিল, শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে ছুটির দিন হওয়ায় কিছু কারখানা আজ বন্ধ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিল্পপুলিশ-১ এর আওতাধীন মোট ১৮৬৩টি শিল্প কলকারখানা রয়েছে, যার মধ্যে ১৪০০ কল-কারখানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে, বাকিগুলোতে সরকারি ছুটি হওয়ায় আজ কারখানা বন্ধ রয়েছে।  

বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে আজ আশুলিয়া অঞ্চলের কিছু পোশাক কারখানা ছুটি রয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১১৮ (১) ধারায় বলা হয়েছে প্রত্যেক শ্রমিক বছরে ১১ দিন উৎসব ছুটি প্রাপ্ত হবেন।  

এক পোশাক কারখানার কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, আইনে সাধারণত শ্রমিকরা বছরে ১১ দিন উৎসব ছুটি পান। কিন্তু আগে থেকেই শিল্প মালিকরা দেখা যায় বছরে শ্রমিকদের দু-একদিন বেশি ছুটি দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে ১৫ আগস্ট শ্রমিকরা যেই ছুটিটি পান সেটি মূলত বিগত সরকার কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া ছিল। এক্ষেত্রে তালিকায় ১৫ আগস্টের পাশে স্টার চিহ্ন দেওয়া থাকতো।

শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে মোট ১ হাজার ৮৬৩ পোশাক কারখানা রয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার ৪০০ টি পোশাক কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন চলছে। বাকিগুলো সরকারি ছুটি অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে। তবে সেগুলো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  

এইরকম আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপণ -
advertise

সর্বাধিক পঠিত