জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, “পতিত আওয়ামী বাকশালী সরকার দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করতে দেশে গণহত্যা, খুন-গুমের রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা ফখর-মঈন সরকারের সাথে আতাঁত করে ক্ষমতায় গিয়ে পিলখানা ট্রাজেডী ঘটিয়ে দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে গণহত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল। গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার উপর নৃশংস গণহত্যা তাদের পতন নিশ্চিত হয়েছে। শুধু পতন হয়নি, ফ্যাসিবাদীদের দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।”
তিনি বলেন, “নগ্ন দলীয়করণের মাধ্যমে বাকশালী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। বিচারের নামে আদর্শিক মোকাবেলায় শীর্ষ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াত মানবতার কল্যাণে কাজ করে। সেটা বাকশালীদের পছন্দ হয়নি। তাই তারা নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আজ জামায়াত মানবতার পাশে আছে, ফ্যাসিবাদীদের পালিয়ে যেতে হয়েছে। বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত পংকজ কুমার করসহ আত্মত্যাগকারীরা জাতীয় বীর হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
তিনি রবিবার বিকেলে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বিগত ৫ আগস্ট পুলিশের গুলীতে নিহত সিএনজি চালক পংকজ কুমার করের ভার্থখলাস্থ ঝালোপাড়ার বাসায় পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় জামায়াতের পক্ষ থেকে পংকজ কুমার করের বাবা নিখিল কুমার করের হাতে নগদ ২ লক্ষ টাকা তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মহানগর জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত, হাফিজ মশাহিদ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারী ফয়জুল ইসলাম জায়গীরদার ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরী সভাপতি শরীফ মাহমুদ, ঝালোপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারী জুনেদ আহমদ ও মুরব্বী নীল মনি প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদীদের পতন নিশ্চিত হলেও তাদের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যার সাথে জড়িত সকলের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দেশে ফ্যাসিবাদীদের সক্রিয় হওয়ার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।