ম্যাক্সওয়েল ঝড় তুললেও তাকে ফিরিয়ে ১৪ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে এরপরই শুরু হয় মার্কাস স্টয়নিসের ব্যাটিং তাণ্ডব! যে ঝড়ে রীতিমত উড়ে গেল শানাকার দল। যাতে ২১ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া।এদিন পার্থে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মাত্র ১৭ বলে ফিফটি পূরণ করে দলের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন স্টয়নিস। পরে আরেকটি বলে খেলে মাত্র ১৮ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এই মারকুটে ব্যাটার।সঙ্গে একদিকের উইকেট আঁকড়ে থাকা অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৩১ করে। অবশ্য ম্যাচ জয়ী বা উইনিং শটটাই আসে তার ব্যাট থেকে। যাতে ১৬.৩ ওভারেই জয়ের জন্য কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে (১৫৮) পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে ১৬তম ওভারে দুজনে নেন ২০ রান। যাতে মাত্র ১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করে নজির গড়েন স্টয়নিস। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম অর্ধশতরান করা নজির গড়ে ম্যাচের সেরাও হন এদিন। যে পথে ছয়টি ছক্কার সঙ্গে চারটি চারের মার মারেন অজি এই বিগ হিটার।তার আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা বেশ নড়বড় করছিল। অজি বোলারদের দাপটে তারা এক প্রকার কোণঠাঁসা হয়েই ছিল। তবে চোট সারিয়ে এ দিন ওপেন করতে নেমে দলের সর্বোচ্চ রান করেন পাথুম নিশঙ্কা। মূলত তার ব্যাটে ভর করেই খারাপ সময়ে অক্সিজেন পায় শ্রীলঙ্কা। ৪৫ বলে ৪০ রান করেন তিনি।
এছাড়া ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা করেন ২৩ বলে ২৬ রান। তবে শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন চারিথ আসালাঙ্কা। ২৫ বলে ৩৮ করে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি। আর আটে ব্যাট করতে নেমে ৭ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেছেন চামিকা করুণারত্নে। বাকিদের অবস্থা ছিল তথৈবচ। লঙ্কার আর কোনও ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাননি। অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাস্টন অ্যাগার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।এদিকে, এমন জয়ের পরেও নেট রান রেটে এখনও ঢের পিছিয়ে আছে ফিঞ্চের দল (-১.৫৫)। অন্যদিকে, হেরেও নেট রান রেটে (০.৪৫) এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা। যার ফলে এক ম্যাচ করে জয়ী নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের পর তৃতীয় অবস্থানেই আছেন শানাকারা। আর চারে অবস্থান করছেন ফিঞ্চ-ওয়ার্নাররা।