লন্ডন: লিভারপুলের সাউথপোর্টের ২৯ শে জুলাই, সোমবার ছুরিকাঘাতে তিন শিশু নিহত এবং শিশুসহ আরো ১১ জন ছুরিকাহতের ঘটনার পর ৩০ শেষ জুলাই, মঙ্গলবার থেকে সাউথপোর্টসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী ফার-রাইট গ্রুপ এবং ইংলিশ ডিফেন্স লীগের সমর্থকদের রায়ট অব্যাহত রয়েছে। লিভারপুল, হার্টলিপুল, ম্যানচেস্টারের পর শুক্রবার বিকেলে স্যান্ডারল্যান্ডে মসজিদের সামনে বিক্ষোভ করেছে ফার-রাইট বা কট্টর ডানপন্থীরা। এ সময় পুলিশের উপর হামলা, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর, গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
আগামি কয়েক দিনের ভেতরে ইংল্যান্ড জুড়ে অন্তত ১৯ টি বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী ফার-রাইট গ্রুপ। বিভিন্ন শহরের মসজিদ এবং এসাইলাম আশ্রয় কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালানোর চেষ্টা করছে তারা।
এই অবস্থার মধ্যেই শনিবার লন্ডনে সমাবেশের ডাক দিয়েছে দ্যা প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন সংক্ষেপে পিএসসি। অন্যদিকে একই সময়ে স্ট্যাটিক ডেমোনেস্ট্রেশনের ঘোষণা দিয়েছে ‘এনাফ ইজ এনাফ’ ক্যাম্পেইনার গ্রুপ। তবে দুটি গ্রুপের জন্য সেকশন ১২ ও ১৪’র শর্ত অনুযায়ী আলাদা আলাদা রোড এবং সময় বেঁধে দিয়েছে মেট পুলিশ।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানিয়েছে, দ্যা প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন সংক্ষেপে পিএসসি’কে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করতে হবে সেন্ট্রাল লন্ডনের পার্ক লেইন থেকে এবং শেষ করতে হবে হোয়াইট হলের সামনে গিয়ে।
মিছিল শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এতে অংশ নিতে আসা সবাইকে মেট পুলিশ কর্তৃক নির্ধারিত এলাকা পার্ক লেন সাউথ বাউন্ডে অবস্থান নিতে হবে। মিছিল চলাকালে মিছিলে অংশগ্রহণকারী সবাইকে অবশ্যই পুলিশের করে দেওয়া নির্ধারিত ম্যাপ মেনে সামনের দিকে এগুতে হবে। বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী সবাইকে অবশ্যই পুলিশের নির্ধারিত ম্যাপের ভেতরে থাকতে হবে এবং মিছিলটি অবশ্যই সাড়ে ৪টার ভেতরে শেষ করতে হবে।
এদিকে এনাফ ইজ এনাফ ক্যাম্পেইনারদের স্ট্যাটিক ডেমোতে অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই পুলিশ কর্তৃক নির্ধারিত রোডে অবস্থান নিতে হবে বলে সতর্ক করেছে পুলিশ।
স্ট্যাটিক ডেমোর জন্য পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তবে এ ধরনের বিক্ষোভকারীরা এক জায়গায় বেশি সময় স্থায়ী থাকতে পারে না। পুলিশের তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবুও জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শনিবার স্ট্যাটিক ডেমোনেস্ট্রেশনের জন্য জায়গা নির্ধারিত করে দিয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।
এদিকে, মঙ্গলবার থেকে লন্ডনের বাইরে বিভিন্ন শহরে রায়টের কারণে লন্ডনে মুসলিম কমিউনিটি নেতাদের সাথে বৈঠকের পাশাপাশি মসজিদ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে মেট পুলিশ। উত্তপ্ত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মুসলিম কমিউনিটি নেতাদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার কথাও শোনার চেষ্টা করেছে মেট পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।