বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল কর্মসূচিকে ঘিরে আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) সিলেটে প্রায় চার ঘন্টাব্যাপী ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। এতে শিশু, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আট জনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জুমার নামাজের পর সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। আরেকটি মিছিল বের হয় তেমুখী এলাকা থেকে। উভয় মিছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটকের সামনে এসে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে মদিনা মার্কেটের দিকে এগুতে থাকে।
বিকেল ৪টার দিকে মিছিলটি আখালিয়াস্থ মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে আসলে আবারও পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা আখালিয়া এলাকার বিভিন্ন গলির ভেতর অবস্থান নেয়। থেমে থেমে তারা গলির ভেতর থেকে বের হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে সড়কের উপর আগুন ধরায়। পুলিশও তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
এ সময় এক শিশুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের ভেতর নিয়ে যেতে দেখা যায়। সংঘর্ষ চলাকালে কালবেলার সিলেট প্রতিনিধি মিটু দাস জয়ও আহত হন। এছাড়া সংঘর্ষে পথচারী, শিশু, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রাত সাড়ে আটটা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আখালিয়া ও আশপাশ এলাকায় থেমে থেমে আন্দোলনকারী ও পুলিশের সর্তক অবস্থান দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, মিছিল থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা ও পুলিশের উপর আক্রমণ করা হলে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং আট জনকে আটক করা হয়েছে।