হেমন্তের সকালের ঘুমটা ভাঙলেই ইদানিং একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। পাক-পাখালির কলরব, তারপর কিছুটা কুয়াশার চাদরেও ঢাকা পড়ছে চারিদিক। সবুজ ঘাস আর ধানের শীষে জমে শিশির সকালের রূপ বাড়িয়ে দিচ্ছে আরও কয়েকগুণ।কুয়াশার আবরণ ভেদ করে ভোরের সোনালী আলো যখন এই সবুজ শ্যামল শিশির ভেজা শস্য ক্ষেতে পড়ছে তখন প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশটা উপভোগ করতে এক কাপ গরম চা হাতে জুতাহীন পায়ে শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে পা ফেললে মনের সাথে সাথে শরীরও নেচে উঠে। চায়ে চুমুক দিতে দিতে কল্পনার জগতে হারিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।বাংলাদেশে প্রকৃতির আচরণ বড়ই বিচিত্র। বছরে ছয়টি ঋতুতেই আছে অসাধারণ বৈচিত্র। কখনো গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ, কখনোবা নদীতে জোয়ার তোলা ঝড়-বৃষ্টি, কখনো কাশফুলের ঘন সাদা রঙ্গে শরৎ, না শীত না গরমের হেমন্ত, কখনোবা প্রচন্ড ঠান্ডায় জমে যাওয়ার জোগাড়। আবার বসন্তে ফুলে ফলে রঙিন পরিবেশ। এইতো আমাদের বাংলাদেশ।
এখন কার্তিক মাস, হেমন্তকাল। শহরে কিছুটা শীতের আগমন বার্তা পাওয়া গেলেও গ্রামে এখন মোটমুটি শীত শুরু হয়ে গেছে। গ্রামঞ্চেলে শীতের আমেজ এখন যথেষ্ট উপভোগ্য।শহরে শীতের প্রভাব তেমনটা লক্ষ্য করা না গেলেও ব্যবসায়ীরা কিন্তু প্রস্তুত। শীতবস্ত্রের পশরা বসতে শুরু করেছেন অভিজাত শপিংমল বিপনীবিতান থেকে শুরু করে সিলেটের ফুটপাতেও। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের ক্রেতারাও ভিড় করছেন ওসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলের বস্তাবন্দি লেপ-কাঁথা- কম্বল মুক্ত হতে শুরু করেছে। শহরতলীর বিভিন্ন মাঠ ও রাস্তার পাশে সেগুলো দেখে বুঝাই যায়-শীতবুড়ি আসছে!