বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় সিলেটের আলোচিত ও সমালোচিত পুলিশ কর্মকর্তা আজবাহার আলী শেখকে আসামীকে আদালতে মামলা করবে তার পরিবার। এই মামলায় আজবাহার ছাড়াও এই মামলা আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামী করা হবে।
গত ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদ এলাকায় বিএনপি ও পুলিশের সংর্ঘষে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক তুরাব। হত্যাকান্ডের পাঁচ দিন পর তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে ৮-১০ জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে সিলেটভিউকে তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ জানান, চলতি সপ্তাহে তিনি আদালতে নতুন করে মামলা করবেন। আগে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ না করলেও এবার এজহারে নাম উল্লেখ করবেন। মামলায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ ও সহকারী কমিশনার কাওসার দস্তগীরকে আসামি করবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে পুলিশ তুরাব হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতের ৩৪ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকশকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। আর তুরাবের ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করেছিলো পুলিশ।
পুলিশের দায়ের করা মামলা এখন পর্যন্ত কাওকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল নগরীর কোর্ট পয়েন্টকে শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব চত্বর ঘোষণা করা হয়। সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ব্যানার টানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তুরাব চত্বর নামকরণ করা হয়।