জাতিসংঘের ১১তম জরুরি এক বিশেষ অধিবেশনে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ চার্টার, ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বসহ অন্যান্য মৌলিক নীতি বিবেচনায় নিয়ে এর পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ।‘ইউক্রেনের অখন্ডতা ও জাতিসংঘ সনদ নীতি’-শীর্ষক এক জরুরি অধিবেশন আহ্বান করে জাতিসংঘ। এ প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৩টি দেশ ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট দেয় ৫টি দেশ। আর ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
জাতিসংঘের বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ বলেছে, এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান, সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য, নীতিগুলি অবশ্যই সবার জন্য মেনে চলতে হবে। আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে যেকোনো দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা উচিত।এই প্রসঙ্গে আমরা বিশেষভাবে ইসরায়েল দ্বারা ফিলিস্তিনি এবং অন্যান্য আরব ভূমি দখলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনুরূপ অভিন্ন অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছি।
ইউক্রেনের সংঘাতের ধারাবাহিকতা এবং এর বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরিতা কোনো জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। সংলাপ, আলোচনা এবং মধ্যস্থতা হলো সংকট ও বিরোধ সমাধানের সর্বোত্তম উপায়। বহুপাক্ষিকতাবাদে দৃঢ় বিশ্বাসী হিসেবে আমরা জাতিসংঘের পাশে দাঁড়াবো এবং আমাদের সাধ্যমত সমর্থন করব।আমাদের আহ্বান সর্বস্তরের জনগণের আস্থা ও আস্থা অর্জনের জন্য জাতিসংঘকে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং সবার প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে। তাই বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব বিরোধ নিষ্পত্তি এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কূটনৈতিক সংলাপ পুনরায় শুরুর জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানায়। মানবজাতির মঙ্গলের জন্য যুদ্ধের অবসান এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করার জন্য আমাদের কাজ করা উচিত। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আমাদের একসাথে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।