।। Dr Zaki Rezwana Anwar FRSA ।।
‘Clash of Civilisation’ এই বিখ্যাত বইটিতে স্যামুয়্যাল হান্টিংটন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর অর্থাৎ স্নায়ুযুদ্ধের পর পরিবর্তীত নতুন বিশ্ব-রাজনীতি ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়ে ‘new world order’ এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। Clash of Civilisation (যা COC নামে পরিচিত) বইটিতে বিশেষভাবে দু’টো তত্ত্ব উপস্থাপন করেছিলেন স্যামুয়্যাল হান্টিংটন। প্রথম তত্ত্বটি ছিল এরকম – স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী ভবিষ্যৎ যুদ্ধগুলো নিছক দেশের সঙ্গে দেশের হবে না, লড়াই হবে সংস্কৃতি ও সভ্যতার লড়াই এবং ইসলামী সভ্যতা বিশ্বে পাশ্চাত্যের আধিপত্যের জন্যে একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। দ্বিতীয় তত্ত্বটি হচ্ছে: বিশ্বমঞ্চে চীনের ক্রমাগত উত্থান পাশ্চাত্য দেশগুলোর শক্তিমত্তাকে ধীরে ধীরে ক্ষীণ করে দেবে এবং Sino European সংস্কৃতি ও ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। এই তত্ত্বগুলো দেওয়া হয়েছিল আজ থেকে তিন দশকেরও বেশী সময় আগে যেখানে হান্টিংটন স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর বিশ্বে clash-গুলো হবে মূলত ইসলামের বিরুদ্ধে এবং চীনকে দমনের লক্ষ্যে।
এখন লক্ষ্য করুন, নাইন ইলেভেনের পরে ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়টি সামনে চলে আসল এবং চীনের বিষয়টি পেছনে পড়ে গেল। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ‘Either you are with us or you are against us’ অর্থাৎ ইউনিপোলার এই বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরাক ও আফগানিস্তানে আগ্রাসনের ব্যাপারে যেসব দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এবং যারা সমর্থন দেবে না তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। ঠিক ঐ সময়ে এই ইসলামোফোবিয়ার কার্ডটি বিশ্বে সব চাইতে সার্থকভাবে খেলেছিল ভারত। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুব পছন্দের মিত্র হয়ে উঠেছিল ভারত। সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইসর কন্ডলিসা রাইস (যিনি কলিন পাওয়েলের পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন) ভারত সফর করে এসে বলেছিলেন ভারত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পরম মিত্র এবং ভারতকে এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উপর চৌকিদারীর দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ঘটনাক্রমে ও সময়ের আবর্তে মোদী এবং শেখ হাসিনা দু’জনার ক্ষমতা গ্রহণের কালটি ছিল ভূ-রাজনীতির cycle এর এমন একটি সময় যখন বিশ্ব ছিল একটি জঙ্গি ভীতিকর ও ইসলামোফোব বিশ্ব। সঙ্গত কারণেই মোদী ও শেখ হাসিনার যে কোনো জঙ্গি কার্ডই (কোনোটি সত্য, কোনোটি অর্ধসত্য, কোনোটি অসত্য) মার্কিন সরকারের কাছে তখন গুরুত্ব পেয়ে আসছিল এবং বাহাবা পেয়ে আসছিল। অত:পর সময়ের দাবীতে যুক্তরাষ্ট্রের priority গেল বদলে। যে মুহূর্তে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে হল সে মুহূর্ত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইসলামোফোবিয়ার কার্ডটির আর কোনো গুরুত্ব থাকল না এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে ইসলাম বিষয়টি পেছনে চলে গেল। সামনে চলে আসল চীন। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল চীন ঠেকাও (হান্টিংটনের দ্বিতীয় তত্ত্ব)।
এরপর যখন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হল তখন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে ইসলাম কার্ডটি একেবারে পেছনে চলে গেল। আমরা যারা ইউরোপে রয়েছি তারা যদিও এখনো মাঝে মাঝে ইসলামোফোবিয়া মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখি তাদের বুঝতে হবে, বর্তমান ইউরোপের হুমকী কিন্তু ইসলাম নয়, বর্তমান ও নিকট ভবিষ্যতে ইউরোপের হুমকী হচ্ছে রাশা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ভাবল তার তো এখন মুসলিম বিশ্বের সাথে মাখামাখি বাড়াতে হবে, নইলে চীন নীরবে ধীরে ধীরে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার শক্তিমত্তা বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যে ইরান ও সৌদি আরবের বহুদিনের বিবাদের অবসানে চীনকে মোড়লের চেয়ারে বসতে দেখে যুক্তরাষ্ট্রের টনক নড়ে গেল। সে কারণেই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মনোজগত থেকে ইসলাম কার্ডটি প্রায় উধাও হওয়ার পথে।
এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ছোট দেশ বলে নয়, এমন কি বাংলাদেশ সহ ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সব সময় একটি ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হয়, কারণ এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে পরিস্থিতি জটিল এবং সেখানে কখনো কখনো হয়তো এসব দেশকে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে এমনভাবে কাজ করতে হয় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা বা আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ধরা যাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা। বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার আগে বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণায় পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে বলা হয়েছিল বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছিল। আমি বলব সেটি এক অর্থে ছিল বাইডেনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ। তারপরও এই যে ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক বজায় রেখে চলার কথা লিখলাম সেটি মাঝে মাঝে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। ঠিক সে কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তো বাংলাদেশে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ভারতের কথায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি থেকে সরে এসেছিল। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার; তার কোয়াডের সদস্য; ইন্দো-প্যাসিফিক ষ্ট্রেটেজির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার; এবং china containment এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার; সেই সাথে দেড় বিলিয়ন জনগণের দেশ একটি বিরাট বাজার এবং ভারত যেখানে তার সামরিক শক্তিকে আধুনিকীকরণের কথা বলছে, সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে অস্ত্রের একটি বিরাট বাজার ভারত – সব মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন ভারতের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেনি।
এদিকে সময় গড়াতে থাকল। ক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেখতে পেল মোদী সরকার এই অঞ্চলের ছোট ছোট দেশগুলোর প্রায় সবগুলোতেই কর্তৃত্ববাদী ও জাতীয়তাবাদী দেশ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ফলে এই দেশগুলো ক্রমেই ভারত বিদ্বেষী হয়ে উঠেছে। এই অঞ্চলে অন্য দেশগুলোর কথা যদি বাদও দেই, তাহলেও বলতে হয়, এমনকি হিন্দুপ্রধান দেশ নেপালের সঙ্গেও ভারতের বিরোধ। মালদ্বীপের মত দেশে এক ‘ভারত হটাও’ শ্লোগান নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করে। যুক্তরাষ্ট্র দেখতে পেল এই অঞ্চলে তাদের নিযুক্ত চৌকিদারের হাঁকডাক প্রতিবেশী দেশগুলোর কর্ণ গুহরে আর আগের মত প্রবেশ করছেনা। এই অঞ্চলে ভারতের সর্বশেষ ও একমাত্র বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশেও দেখা দিয়েছে চরম ভারত বিরোধী মনোভাব, এসেছে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। অর্থাৎ সর্বশেষ বাংলাদেশের উপর ভারতের যে প্রভাব বা leverage ছিল তা একেবারে নীচে নেমে এসেছে হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে।
আমরা অবশ্য ইদানিং লক্ষ্য করছি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এতদিন পশ্চিমাদের সাথে যে একটি শক্ত অবস্থান দেখিয়ে আসছিলেন সেটি থেকে একটু একটু ক’রে সরে আসছেন। গত জুলাই মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশা সফর করেছিলেন এবং পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন যা নিয়ে ভলদিমির জেলেন্স্কি তীব্র সমালোচনা করে তাঁর ভাষায় বলেছিলেন যে, যেখানে রাশা অতীতে অগণতান্ত্রিকভাবে ইউক্রেনের কিছুটা অংশ দখল করে নিয়েছে এবং এখন আবার ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে সেখানে ভারতের মত একটি দেশ যে নিজেকে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ বলে দাবী করে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কিভাবে রাশার প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনা করতে রাশা গিয়েছেন? ভারতের সঙ্গে রাশার যেটুকু বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পর্ক ছিল তাতে কোনো অসুবিধার কারণ ছিলনা, এমন কি ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ভারতের রাশার কাছ থেকে সস্তায় তেল কেনার বিষয়টিও পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র না দেখার ভান করে থাকলেও রাশায় গিয়ে মোদীর পুতিনের সাথে বৈঠক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মোটেও সুনজরে দেখেনি। সম্ভবত সে বিষয়টি প্রশমিত করার উদ্দেশ্যেই মোদীর ইউক্রেন সফর। বলা বাহুল্য, ইউক্রেনে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম সফর।
ইউক্রেন থেকে ফিরে মোদীর বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ ও সে বিষয়ে টুইট বার্তায় বা এক্সে একই আলোচনার বর্ণণায় মোদী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করার প্রয়োজন মনে করলেন অথচ বাইডেন সে বিষয়টির উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা মনে করলেননা। মোদীর ছোট্ট ঐ বার্তা বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি বিষয়ের আভাস পাওয়া যায়।
প্রথমত: ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পরপরই কয়েক দিন দু:খজনকভাবে সনাতন ধর্মের লোকজন হামলার স্বীকার হয়েছিলেন যদিও একই সাথে ছাত্র জনতার হিন্দুদের স্থাপনা পাহারা দেওয়ার চিত্রও দেখা গিয়েছিল। সে পরিস্থিতি এখন শান্ত বলা যায় কিন্তু তারপরও মোদীর ঐ টুইট থেকে প্রথম যে বার্তাটি পেতে পারি তা হচ্ছে, মোদী একটি প্রেক্ষিত সৃষ্টি করে রাখলেন, যদি শেখ হাসিনাকে কোনোভাবে বা তাঁর দলকে কোনোভাবে খুব শিগগিরই আবার ক্ষমতায় বসানোর জন্যে ভারত বাংলাদেশের উপর কোনোভাবে কোনো বল প্রয়োগ করতে চায় (কতটা সার্থক হবে সেটি ভিন্ন আলোচনা) তাহলে মোদীর দিক থেকে তিনি একটি ক্ষেত্র তৈরীর করে রাখলেন।
দ্বিতীয়ত: মোদীর যে এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে জোট করে সরকার গঠন করতে হয়েছে সেটাও যে নিজ দেশে তাঁর অবস্থানকে আগের মত প্রতাপশালী অবস্থানে রাখেনি সেটিও নিশ্চিতভাবে তিনি ভাবছেন। যেহেতু তাঁর আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই এবং যেহেতু তাঁকে নিজের দেশে মূলত হিন্দু identity রাজনীতি করতে হয়, তাই তাঁর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণেও তাঁকে এরকম বলতে হয়েছে।
তৃতীয়ত: এই টুইটের আরো একটি দিক রয়েছে। যেই মোদী টু প্লাস টু মিটিং করে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে হঠাৎ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুর নরম করতে সক্ষম হয়েছিল সেই মোদীকে এখন ইউক্রেন থেকে ফিরে এসে বাইডেনের কাছে রিপোর্ট দিতে গিয়ে বাংলাদেশের বিষয়ে এক প্রকার অনুযোগ করতে হল বাংলাদেশের উপর ভারতের আগের সেই প্রভাব নেই বলে।
বলা বাহুল্য, ভারত ও বাংলাদেশ এই দু’দেশ যদি সংঘাতময় সম্পর্কের মধ্যে থাকে তাহলে তা ভারত ও বাংলাদেশ কারো জন্যেই মঙ্গল বয়ে আনবেনা। আমি মনে করি, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো যা সেভেন সিষ্টার্স নামে পরিচিত, সে অঞ্চল নিয়ে যদি ভারতের কোনো রকম উদ্বেগ থাকে তাহলে সে বিষয়টি নিয়ে ভারত বাংলাদেশের সাথে আলোচনা করতে পারে এবং আলোচনা করা-ই উচিত। ঠিক তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা নিয়ে যদি বাংলাদেশের কোনো উদ্বেগ থাকে সেটিও ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। কুকি-চিন যখন বাংলাদেশে কাজ করছে এবং এর নেতা নাথান বম ভারতের মনিপুরে রয়েছেন, এমন সব রিপোর্ট আমরা নানা পত্রিকায় দেখতে পাই তখন এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশেরও ভারতের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। দু’দেশরই নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে এবং অতি অবশ্যই নিজেদের সার্বভৌমত্বের প্রতি মর্যাদাশীল হয়ে সহ অবস্থানে আসার মনোভাব থাকতে হবে। দিনের শেষে রাজনীতিবিদদের উচিত দাম্ভিকতা ভুলে গিয়ে ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যত ভূ-রাজনীতির গতিবিধির উপর সম্যক জ্ঞান রেখে অংশীদারদের সাথে নিদেন পক্ষে একটি functioning সম্পর্ক রেখে নিজ দেশের জন্যে সম্ভব সর্বোচ্চ স্বার্থের কথা বিবেচনা করা।
…………………..
লেখক : Dr Zaki Rezwana Anwar FRSA MBBS, DTM&H, MS, PhD একজন চিকিৎসক, জনপ্রিয় সিনিয়র সংবাদ পাঠক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।