বৃহস্পতিবার থেকে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আহমেদাবাদে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ।
এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ১০টি দেশ। অংশগ্রহণকারী ১০ দেশের ১০ অধিনায়কের ফ্যাক্টফাইল এখানে তুলে ধরা হলো।
ভারত :
নাম : রোহিত শর্মা
বয়স : ৩৬ বছর
প্লেয়িং রোল : ব্যাটার
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার
ম্যাচ : ২৫১
রান : ১০,১১২
সর্বোচ্চ রান : ২৬৪
গড় : ৪৮.৮৫
১০০ : ৩০
৫০ : ৫২
– ২০০৭ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হলেও এই ফর্মেটে অধিনায়ক হিসেবে রোহিত অনেকটাই নবীন। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মত ভারতের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পান। ২০২২ সালে বিরাট কোহলির উত্তরসূরী হিসেবে স্থায়ীভাবে তিনি ভারতের অধিনায়ক মনোনীত হন। সব মিলিয়ে তার অধীনে ভারত ৩৪টি ম্যাচ খেলে ২৪টিতে জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাম্প্রতিক এশিয়া কাপ। যেখানে ফাইনালে শ্রীলংকাকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে বিশ^কাপে খেলা শুরু করছে আত্মবিশ^াসী ভারত।
একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে রোহিতের। সেগুলো হলো ২০১৭ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০৮, ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবং ২০১৪ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন রোহিত।
টেস্ট ক্রিকেটের রোহিতের ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে।
২০১৯ ইংল্যান্ডের বিশ^কাপে রোহিত পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। এর মধ্যে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১৪০ রান। কিন্তু সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতকে জয় উপহার দিতে পারেননি।
পাকিস্তান :
নাম : বাবর আজম
বয়স : ২৮ বছর
প্লেয়িং রোল : ব্যাটার
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার
ম্যাচ : ১০৮
রান : ৫৪০৯
সর্বোচ্চ রান : ১৫৮
গড় : ৫৮.১৬
১০০ : ১৯
৫০ : ২৮
-ওয়ানডে ব্যাটারের বিশ^ র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাবর আজম। পাকিস্তানের তিন ফর্মেটেই বাবর অধিনায়কত্ব করে থাকেন। তিন ফর্মেট মিলিয়ে তার আন্তর্জাতিক রান সংখ্যা সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশী। প্রতিটি ফর্মের্টে একাধিক সেঞ্চুরি রয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে এ পর্যন্ত ওয়ানডেতে করেছেন ১৯টি সেঞ্চুরি, সাবেক ব্যাটার সাইদ আনোয়ারের সর্বকালের সেরা রেকর্ডের তুলনায় যা মাত্র একটি কম। ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৫৮.১৬, যা ভারতীয় সুপারস্টার বিরাট কোহলির থেকেও বেশী। টি২০’তেও পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশী রান করেছেন বাবর। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানী হিসেবে ১২২ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস।
২০১৯ বিশ^কাপে পাকিস্তান গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরুতে পারেনি। কিন্তু ঐ আসরে বাবর পাকিস্তানী ব্যাটার হিসেবে দ্রুততম সময়ে ওয়ানডেতে তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে চার বছর আগে বিশ^কাপে বাবর অনন্য এক রেকর্ড গড়েছিলেন। আট ইনিংসে ৪৭৪ রান করে বিশ^কাপে জাভেদ মিয়াঁদাদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙ্গেছিলেন বাবর। এ বছরের মে মাসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই রান সংগ্রহ করতে বাবর খেলেছেন ৯৭টি ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়া :
নাম : প্যাট কামিন্স
বয়স : ৩০ বছর
প্লেয়িং রোল : বোলার
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার :
ম্যাচ : ৭৭
উইকেট : ১২৬
সেরা বোলিং : ৫/৭০
গড় : ২৭.৯৯
-ফাস্ট বোলার কামিন্স মাত্র ১৮ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু পিঠের নিয়মিত ইনজুরির কারনে তার ক্যারিয়ার প্রায়ই বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১৮ সালে বল টেম্পারিংয়ের লজ্জাজনক ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া দলে ক্লিন-কাট ইমেজের খেলোয়াড়ের প্রয়োজন ছিল। কামিন্স অস্ট্রেলিয়া দলে সেই অভাব পূরণ করেছেন। টিম পেইনের স্থানে ২০২১ সালে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পান। পরের বছর এ্যারন ফিঞ্চের অবসরের পর ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবেও তার অভিষেক হয়। ২০১৯ সাল মোহালিতে ভারতের বিরুদ্ধে চার উইকেটের জয়ের ম্যাচটিতে কামিন্স ৭০ রানে ৫ উইকেট দখল করেছিলেন যা তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে কামিন্সের খেলার অভিজ্ঞতা এবারের বিশ^কাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র চার ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন কামিন্স। এ বছরের শুরুতে মায়ের মৃত্যুর কারনে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে পারেননি। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও কব্জির ইনজুরির কারনে সাইডলাইনে ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা :
নাম : টেম্বা বাভুমা
বয়স : ৩৩ বছর
প্লেয়িং রোল : ব্যাটার
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার :
ম্যাচ : ৩০
রান : ১৩৬৭
সর্বোচ্চ রান : ১৪৪
গড় : ৫৪.৬৮
১০০ : ৫
৫০ : ৪
-বাভুমার ক্যারিয়ারে ধৈর্য্য ও ইতিহাস রচনা দুটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কোন কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছিলেন বাভুমা। কিন্তু এর পর দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেতে দীর্ঘ সাত বছর, দুই মাস, ৮৮ ইনিংস তাকে ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারেও তাকে ধৈর্য্যরে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ২০১৬ সালে অভিষেকে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম সেঞ্চুরি করার পর দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে তাকে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১৭ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৪৮ রান করেছিলেন। এরপর তৃতীয় ম্যাচ খেলতে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে আরো বেশী। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডাক পেয়ে খেলেছিলেন ৯৮ রানের ইনিংস। ২০২১ সালের মার্চে ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব পান বাভুমা।
মাত্র পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার কারনে ওয়ানডেতে তাকে প্রায়ই ব্যাটিংয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। কিন্তু টাইমিং ও টেকনিক দিয়ে নিজেকে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেছেন। নিয়মিত ভাবেই টপ অর্ডারে ব্যাটিং করেছেন। সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন।
ইংল্যান্ড :
নাম : জশ বাটলার
বয়স : ৩৩ বছর
প্লেয়িং রোল : উইকেটকিপার-ব্যাটার
ওয়ানডে ক্যারিয়ার :
ম্যাচ : ১৬৯
রান : ৪৮২৩
সর্বোচ্চ রান : ১৬২ (অপরাজিত)
গড় : ৪১.৫৭
১০০ : ১১
৫০ : ২৫
ক্যাচ : ২১১
স্টাম্পিং : ৩৫
-বিশ^ ক্রিকেটে অন্যতম একজন ক্লিন হিটার হিসেবে বাটলার পরিচিত। গত বছর এউইন মরগানের অবসরের পর ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়াকের দায়িত্ব পান বাটলার। টি২০ বিশ^কাপের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বড় কোন টুর্নামেন্টের সাফল্য অর্জণ করেন। ২০১৮ সালে আকস্মিক ভাবে টেস্ট দলে ডাক পেলেও এই ফর্মেটে খুব একটা সফল হতে পারেননি। তার তুলনায় ছোট ফর্মেটেই আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ^কাপে ছিলেন সহ-অধিনায়ক। তবে চার বছর পর ফাইনালে শিরোপা জয়ে সামনে থেকে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বেন স্টোকসের সাথে জুটি বেঁধে খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ৬০ বলে খেলেছিলেন ম্যাচ জয়ী ৫৯ রানের ইনিংস। এরপর সুপার ওভারেও গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলকে রান আউট করে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেছিলেন।
নিউজিল্যান্ড :
নাম : কেন উইলিয়ামসন
বয়স : ৩৩ বছর
প্লেয়িং রোল : ব্যাটার
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার
ম্যাচ : ১৬১
রান : ৬৫৫৪
সর্বোচ্চ রান : ১৪৮
গড় : ৪৭.৮৩
১০০ : ১৩
৫০ : ৪২
-অনেকেই কেন উইলিয়ামসনকে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হবার পর থেকে উইলিয়ামসন নিউজিল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মার্চে এসিএল ইনজুরিতে পড়ার পর বিশ^কাপের আগে নিজেকে ফিট করে তুলতে যথেষ্ঠ সময় পেয়েছেন। ২০১৯ বিশ^কাপে সেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছিলেন। যদিও ফাইনাল ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে নিউজিল্যান্ডকে হতাশ হতে হয়েছিল।
পেস ও স্পিনের বিপরীতে সমানভাবে ব্যাটিং করতে পারদর্শী উইলিয়ামসন নিজেকে শুরুতে সাদা বলের ক্রিকেটে প্রমান করলেও ধীরে ধীরে টি২০তে পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য তিনি বেশী পরিচিত হন। আইপিএল’এ ফিল্ডিংয়ে হাঁটুর ইনজুরিতে দীর্ঘ ছয় মাস বিশ্রামে থাকার পর গত সপ্তাহে প্রস্তুতি ম্যাচের মাধ্যমে মাঠে ফিরেছেন। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি বিশ্রামে থাকছেন।
শ্রীলংকা :
নাম : দাশুন সানাকা
বয়স : ৩২ বছর
প্লেয়িং রোল : অল রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার
ম্যাচ : ৬৭
রান : ১২০৪
সর্বোচ্চ রান : ১০৮ অপরাজিত
গড় : ২২.২৯
১০০ : ২
৫০ : ৩
উইকেট : ২৭
সেরা বোলিং : ৫/৪৩
গড় : ৩৪.১১
-সংক্ষিপ্ত টেস্ট ক্যারিয়ারে পাঁচ বছরে দাশুন সানাকা মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি লাইমলাইটে আসেন টি২০ ক্রিকেটের মাধ্যমে। ২০১৬ সালে অবশ্য তার ওয়ানডে অভিষেক বেশ স্মরণীয় হয়েছিল। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪২ রান করা ছাড়াও মিডিয়াম পেস বোলিং দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৪৩ রানে পাঁচ উইকেট দখল করেছিলেন। জুনে জিম্বাবুয়েতে বিশ^াকপ বাছাইপর্বে তার সময়টা মোটেই ভাল কাটেনি। মাত্র ১২ রান করে ব্যাট হাতে ব্যর্থ লংকান অধিনায়ক বল হাতে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। ২০২১ সাল থেকে তিনি শ্রীলংকার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি কলম্বোতে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের দু:সহ স্মৃতি থেকে বেরিয়ে এসে বিশ^কাপে পুরো দলকে উজ্জীবিত করাই এখন সানাকার সামনে মূল চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ :
নাম : সাকিব আল হাসান
বয়স : ৩৬ বছর
প্লেয়িং রোল : অলরাউন্ডার
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার
ম্যাচ : ২৪০
রান : ৭৩৮৪
সর্বোচ্চ রান : ১৩৪ অপরাজিত
গড় : ৩৭.৬৭
১০০ : ৯
৫০ : ৫৫
উইকেট : ৩০৮
সেরা বোলিং : ৫/২৯
গড় : ২৯.৩২
-ওয়ানডে ক্রিকেটে এই মুহূর্তে শীর্ষ অল রাউন্ডার সাকিবের ১৭ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে রয়েছে ১৪,২২০ আন্তর্জাতিক রান। একইসাথে তিন ফর্মেট মিলিয়ে দখল করেছেন সর্বমোট ৬৮১ উইকেট। তিন ফর্মেটেই তিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত সাকিবের নেতৃত্বে বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছিল। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ^কাপে আট ইনিংসে সাকিব ৬০৬ রান সংগ্রহ করে গ্রুপ পর্বে ভারতীয় লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। যদিও আইসিসির এন্টি-করাপশন কোড ভঙ্গের দায়ে ঐ আসরের পরপরই দুই বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন সাকিব।
আফগানিস্তান :
নাম : হাশমাতুল্লাহ শাহিদী
বয়স : ২৮ বছর
প্লেয়িং রোল : ব্যাটার
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার
ম্যাচ : ৬৪
রান : ১১৭৫
সর্বোচ্চ রান : ৯৭ অপরাজিত
গড় : ৩২.২৭
১০০ : ০
৫০ : ১৬
-২০২১ সালের মে মাসে আফগানিস্তানের অধিনায়কের দায়িত্ব পান হাশমাতুল্লাহ। আসগার আফগানের স্থানে অধিনায়কের দায়িত্ব পান। মাত্র ১৫ মাস দ্বিতীয় মেয়াদে আফগাসদের নেতৃত্ব দিয়েছেন আসগার আফগান। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নিয়মিত বিরতিতে অধিনায়ক পরিবর্তন করায় শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব এসে পড়ে হাশমাতুল্লাহর ওপর। আসগার প্রথম দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১৯ বিশ^কাপের পর। ঐ আসরে গুলবাদান নাইমের অধীনে দলের ভরাডুবির পর আসগারকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয়া হয়। চার বছর আগের বিশ^কাপে আফগানরা ৯ ম্যাচের সবকটিতে পরাজিত হয়েছিল। মাত্র ছয়মাস দায়িত্ব পালন করেছেন নাইব।
২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে ২০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বাঁ-হাতি ব্যাটার হাশমাতুল্লাহ দেশের হয়ে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ড গড়েন। ওয়ানডেতে তার সেরা ব্যাটিং ২০১৮ সালে আবু ধাবীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে, ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ১৬ হাফ সেঞ্চুরির দুটি অর্জণ করেছেন।
নেদারল্যান্ড :
নাম : স্কট এডওয়ার্ডস
বয়স : ২৭ বছর
প্লেয়িং রোল : উইকেটরক্ষক ব্যাটার
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার
ম্যাচ : ৩৮
রান : ১২১২
সর্বোচ্চ রান : ৮৬
গড় : ৪০.৪০
১০০ : ০
৫০ : ১৩
ক্যাচ : ৩৬
স্টাম্পিং : ৬
-অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে ওঠা এডওয়ার্ডস দাদীর সুবাদে ডাচ খেলোয়াড় হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে গেছেন। অস্ট্রেলিয়া সেমি-পেশাদার ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছেন। ২০১৮ সালে তার নেদারল্যান্ড জাতীয় দলে অভিষেক হয়। চার বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে টানা তিনটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস উপহার দেন। এ বছর জুনে বিশ^কাপ বাছাইপর্বে নেদারল্যান্ডের হয়ে সেরা পারফরমার ছিলেন এডওয়ার্ডস। তার অনবদ্য নৈপুন্যে বাছাইপর্ব থেকে দুটি স্থানের একটি লাভ করে নেদারল্যান্ড। জিম্বাবুয়ের বাছাইপর্বে এডওয়ার্ডস চারটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন। দুইবারের বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছিল সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস। ঐ ম্যাচটিতে সুপার ওভারে জয়ী হয় নেদারল্যান্ড।