তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র বাংলাদেশকে পাকিস্তান কিম্বা আফগানিস্তানের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়। তারা সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টি করে দেশকে বিলুপ্ত করতে চায়, দেশকে বিদেশি বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়।তিনি বলেন, ‘এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। আমরা এই দেশকে বিএনপি-জামায়াতের হাতে, সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে বিভক্ত করতে দিতে পারি না।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি এবং এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি জামায়াতের নেতৃত্বাধীন অপশক্তি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আর এই ষড়যন্ত্রের সাথে কিছু আন্তর্জাতিক চক্রান্তও যুক্ত হয়েছে। তারা দেশের অগ্রগতির চাকাকে টেনে ধরতে চায়, কারণ তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন যে পাকিস্তানই ভালো ছিলো, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতে পারে না। আর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, এই পতাকার বিরুদ্ধে, লাল সূর্যখচিত সবুজ পতাকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের হয়ে লড়াই করেছিলো, এই দেশের মানুষকে হত্যা করেছিলো, হত্যাযজ্ঞের সাথে যুক্ত ছিলো। তারা হচ্ছে বিএনপির প্রধান শরিক।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি বিএনপি কতটুকু পারবে। তারা আমাদেরকে প্রতি মাসে টেনে নামায় ক্ষমতা থেকে। গত ডিসেম্বর মাসে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে গিয়ে গোলাপবাগে গরুর হাটে গিয়ে তাদের আন্দোলন মারা পড়েছিলো। গত মাসে বলেছিলো যে, সেপ্টেম্বর মাসে ফাইনাল খেলা। আরও বলেছিলো ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। ৪৮ ঘন্টা এখন ১০ দিন পেরিয়ে গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি হয় নাই।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি সেমিফাইনালে হেরে গেছেন, ফাইনালেই ওঠে নাই, সুতরাং তাদের সাথে কি ফাইনাল খেলবো। তাই নেতা-কর্মীদের কাছে অনুরোধ রাখবো, তাদেরকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবার এবং পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে ইনশাআল্লাহ তারপর আমরা ঘরে ফিরে যাবো, তার আগে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।’