পদ্মাসেতুর সুফল পুরোপুরি পাচ্ছেন না ঢাকায় ফেরা মানুষ। দীর্ঘ পথ স্বল্প সময়ে পাড়ি দিলেও রাজধানীর প্রবেশপথেই অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফরিদপুরের ভাঙা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার প্রান্ত ছুঁয়েছে ৫৫ কিলোমিটার রাস্তা। কম-বেশি এক ঘন্টার ব্যবধানে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের কল্যাণে সবাই পৌঁছে যাচ্ছেন রাজধানী সংলগ্ন একাধিক পয়েন্টে। অতপর যানজটের ধকল সইতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।একজন চালক বলেন, “নয়াবাজার ব্রিজের নিচ দিয়ে সোজা আইল্যান্ড দেয়া লাগে, এই ঘুরানির জন্য অনেক জাম হয়ে যায়, রাত দিন বসে থাকতে হয়, অনেক কষ্ট হয়ে যায়।আরেকজন চালক বলেন, “এক ঘণ্টা বিশ মিনিট লাগছে কদমতলী থেকে নয়াবাজার আসতে।কখন ছুটবে গাড়ির জট তা জানে না কেউ। যে কারণে পদ্মা সেতুর সুফল কাক্সিক্ষতভাবে পাচ্ছেন না যাত্রীরা। একজন পথচারী বলেন, ” গুলিস্তান স্ট্যান্ড, তারপরেও এই জায়গায় জোরজুলুম করে স্ট্যান্ড করছে, নেতা কর্মীরা যারা আছে তারা টাকা খাওয়ার জন্য এগুলা করছে।”
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, তারা চেষ্টা করেও ব্যর্থ। একজন বলছেন, “যখন একটা বাসের সামনে একটা রিক্সা পড়ে তখন বাসের গতিও রিক্সার মত ধীর হয়ে পড়ে।ঢাকার প্রবেশমুখের এই স্থবিরতা কাটলে পদ্মার ওপার থেকে অফিস করা সম্ভব হতো অনেকের।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যার সমাধান আছে। বাস্তবায়নে আছে চ্যালেঞ্জ।গণপরিবহন ও নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন, “পদ্মা ব্রিজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য করা হয়েছে, বিরাট একটা অংশ, ৪০ কিলোমিটার, সবার উদ্দেশ্য সোজা যাওয়া। তাহলে এটাকে তুৃমি একটা াপারেটরকে দাও। সে সিঙ্গেল স্টোরি বাস নামাবেনা। ডাবল স্টোরি বাস নামাবে, তার মানে পদ্মা ব্রিজ অপারেশনালি ডাবল ডেকার হয়ে গেলো, ক্যাপাসিটি ডাবল হয়ে গেলো। তাহলে এনার্জি কম লাগবে, বাসের বিনিয়োগ কম লাগবে, ডাইভার কম লাগবে।টোল দিয়ে ফ্লাইওভারে ওঠার পরও কেনো অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।