বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত অন্তত ৫৯ জন ক্যাডেট উপ-পরিদর্শককে (এসআই) শোকজ করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদেরকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাজশাহীর সারদায় থাকা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রশিক্ষণ হলে শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে হইচইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে প্রশিক্ষণরত এই ৫৯ এসআইয়ের বিরুদ্ধে। এই এসআইদের সবাই ৪০তম ক্যাডেট-২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত।
পর্যায়ক্রমে গত সোমবার (২১ অক্টোবর) ও শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) প্রশিক্ষণরত এই এসআইদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গত ২১ অক্টোবর ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে শোকজ করা হয়। এরপর ২৫ অক্টোবর আরও ৪৯ জন এসআইকে শোকজ করা হয়।
পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) মো. তারেক বিন রশিদ কারণ দর্শানোর ওই নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন।
তবে জানতে চাইলে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেবেন না বলে জানান পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাসুদুর রহমান ভুঞা। একাডেমি সম্পর্কিত কোনো বক্তব্য প্রয়োজন হলে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ শাখায় কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
যদিও পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) এনামুল হক সাগর বলেন, এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। জানতে পারলে পরবর্তীতে গণমাধ্যমকে জানাব।
এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচইয়ের দায়ে সম্প্রতি এই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজ করা হয়েছিল। পরে তাদের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ওই এসআইদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৩ সালে এসআই পদে নিয়োগের জন্য ৮২৩ জনকে চূড়ান্ত করে প্রশিক্ষণের জন্য তাদের সারদায় পুলিশ একাডেমিতে পাঠানো হয়। ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষে আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের কথা ছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর এসআই পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিএনপি। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে পুলিশের নিয়োগ বাতিলের দাবি করে দলটি। এরপরই ২০ অক্টোবর সারদায় এএসপিতে কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়। পরে ২১ অক্টোবর ২৫২ জন এসআইকে অব্যাহতি দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।