গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালী জেলায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
টানা বৃষ্টিপাতে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপার কার্যালয়, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়, জেলা রেকর্ড রুম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) বাসভবনের নিচ তলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এতে সেবা প্রত্যাশীরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। এছাড়া জেলা সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার সড়ক ও বাসাবাড়ির উঠানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে জেলার সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিন্মাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে নতুন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সদর উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা কাজল জানান, গত কয়েকদিন ধরে নোয়াখালীতে রোদ্র উজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় জলাবদ্ধতা কমে আসে।
গত ২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা আবার বেড়েছে। মূলত গত দেড় মাস ধরে নোয়াখালীতে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রোদ হলে জলাবদ্ধতা কমে, বৃষ্টি হলে আবার জলাবদ্ধতা বাড়ে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নোয়াখালীর পানি নিষ্কাশিত হওয়ার প্রধান খাল, বিল, জলাশয়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। এছাড়া আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হলেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়। এজন্য বন্যার পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী,সদর উপজেলায় এখনো পানিবন্দি রয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৮১৫টি পরিবার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানিবন্দি রয়েছে বেগমগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার ৩১৫ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। সর্বনিন্ম পানিবন্দি রয়েছে সোনাইমুড়ী উপজেলায়। এখানে ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যক্ষেক আরজুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও দু-একদিন হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
ডিসি খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। এর মধ্যে পানি নিষ্কাশনে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।