আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমার যতদূর মনে পড়ে ৯০ দিন আগে তফসিল দিতে হয়। তবে, সেপ্টম্বরের আগে এটা হওয়ার কথা নয়। এখনো এটা স্থির করেছি। তবে, অনুমান করে বলতে পারি, সেপ্টেম্বরে শেষের দিকে বা মাঝামাঝি কোনো একটা সময়ে তফসিল ঘোষণা করবো।বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) নির্বাচন কমিশন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন সিইসি।সিইসি বলেন, ‘প্রস্তুতি একটা ধারাবাহিক বা চলমান বিষয়। প্রস্তুতি চলছে এ জন্য আমাদের একটা রোডম্যাপ আছে, পরিকল্পনা আছে— সেই অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সব মিলিয়ে শহস্রাধিক নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচনগুলো ভালোই ও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সেই রকম কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে দুই চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না, সেটার জন্য আমরা দুঃখিত।’
জাতীয় নির্বাচনে কোনো চাপ আছে কি? এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘কোনো মহল থেকে আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। সংবিধানের বিধিবিধান মাথায় রেখে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কোনো চাপ অনুভব করছি না। পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহায়তা পর্যাপ্ত পেয়েছি এটা অস্বীকার করা যাবে না। ভবিষ্যতটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি না। তবে, আমার আস্থা-বিশ্বাস বর্তমানে প্রশাসন ও পুলিশ যেভাবে দায়িত্ব পালন করছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও অনুরূপভাবে দায়িত্ব পালন করবে।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক মতভেদ বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রকট মতভেদ। দলগুলোর মধ্যে পারস্পারিক রাজনৈতিক আস্থা যদি ফিরে না আসে তাহলে নির্বাচনের পথে সেটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে।বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে পারবেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপিকে আনতে পারবো কি পারবো না এ দায়িত্ব আমাদের ওপর আরোপিত হয়নি। এটা একটা রাজনৈতিক বিষয়। বিএনপি আসবে কি আসবে না এটা নিয়ে একটা রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে। এটা তারাই নির্ধারণ করবে বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না। কিন্তু আমরা নিরপেক্ষভাবে বলতে চাই আপনারা সবাই নির্বাচনে অংশ নিন। সংকট নির্বাচন কমিশনে নয়, সংকট রাজনীতিতে। সংকট মোকাবিলা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিরসন করতে হবে। আমরা শুধু নির্বাচন আয়োজন করবো, আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছি।’