বাংলাদেশ গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপেট হুট করে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখানে আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের নামের পাশে এখন ‘লাল পতাকা’ লাগিয়ে রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূত্র বলছে, টুর্নামেন্ট যাতে এখানেই আয়োজন করা যায়, সেজন্য মোটা দাগে দুটি বিষয়ে নিশ্চয়তা চাইছে আইসিসি। প্রথমটি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক হতে হবে। দ্বিতীয়টি, খেলোয়াড়, কোচ, আম্পায়ার, কর্মকর্তা কারো ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকা যাবে না।
আগামী অক্টোবরে ঢাকা ও সিলেটের দুটি স্টেডিয়ামে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা।
বিসিবি সূত্র বলছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখছে আইসিসি। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে এবং এ ব্যাপারে চূড়ান্ত নিশ্চয়তা না দেওয়া গেলে আইসিসি এখান থেকে বিশ্বকাপ ভেন্যু সরিয়ে নিতে পারে। দেশের পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে পরিস্থিতি আইসিসি বাংলাদেশের পাশে প্রথমে ‘হলুদ পতাকা’, পরে ‘সবুজ পতাকা’র সিগন্যাল দেবে। অন্যথায় ভারত, শ্রীলঙ্কা বা আরব আমিরাতে সরে যাবে টুর্নামেন্ট।
বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশের সব ঠিক হয়ে গেছে, এটা আইসিসিকে ২০-২৫ দিন আগে বললে হবে না। দ্রুতই বলতে হবে। মিলিয়ন ডলারের আয়োজন, হুট করে বললে হয় না। নিজেদের স্থানীয় সূত্র কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন আমাদের দেশের আপডেট পায় ওরা। আইসিসি এখন দুশ্চিন্তায় আছে যে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ আয়োজনের মতো অবস্থায় আছে কিনা। শেষ মুহূর্তে বললে ভেন্যু পরিবর্তন করা আইসিসির জন্যও অনেক ঝামেলার। অনেক বিষয় আছে এখানে।’
তবে বিসিবির পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয় নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিশ্বকাপ যাতে বাংলাদেশেই হয়, সে ব্যাপারে তারা পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বিসিবির পক্ষ থেকে।