বর্ষায় সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে শত শত পর্যটক ঘুরতে আসছেন। তবে টেকেরঘাট এলাকায় তারা পুলিশি নিরাপত্তা পেলেও হাওড়ে পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি, পর্যটকদের নিরাপত্তায় নৌ ও থানা পুলিশ কাজ করছে।
সুনামগঞ্জের সাহেব বাড়িরঘাট, তেঘরিয়া বালুরমাঠ, মল্লিকপুর লঞ্চঘাট, ওয়েজখালী এলাকা থেকে প্রতিদিন সকালে অংসখ্য হাউজবোট পর্যটকদের নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর, গোলাবাড়ি, নীলাদ্রি লেক, যাদুকাটা নদী, বারিকটিলা, শিমুলবাগান, লালঘাট ঝর্নাসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। এরপর টেকেরঘাট এলাকায় হাউজবোটে রাত্রিযাপন করেন পর্যটকরা। পর্যটকরা হাউজবোটে চড়ে এসব পর্যটন এলাকা ঘুরে বেড়ান। গোলাবাড়ি ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় তারা হাওড়ের পানিতে নেমে সাঁতারও কাটেন।
জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটকরা এসব পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসেন। তবে তাদের অভিযোগ, হাওড়ে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা নেই।
পর্যটকরা বলেন, ‘এখানে আমাদের পুলিশি নিরাপত্তা প্রয়োজন। হাওড় এলাকায় পর্যটকদের জন্য আরও সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। এছাড়া দুর্যোগ পরিস্থিতিতে আমাদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দরকার। আর এখানে যে যার মতো ভাড়া চাচ্ছেন। এতে অনেক সময় হয়রানি হতে হয়।’
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার এম এন মোর্শেদ বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় যৌথভাবে নৌ পুলিশ ও তাহিরপুর থানা পুলিশ কাজ করছে। আর ভ্রমণের সময় পর্যটকরা প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে তাৎক্ষণিক আমাদের জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময় তৎপর আছি।’
সুনামগঞ্জ সদর থেকে টাঙ্গুয়ার হাওড়ের নৌপথে দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার, আর যেতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টা।