সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরুত্তাপ ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট গ্রহণ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। তবে চেয়ারম্যান পদে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসির উদ্দিন খান নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় সিলেটে এই নির্বাচনের জৌলুস অনেকটাই কমে এসেছে।জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সচিবালয় থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরায়। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করছেন ম্যাজিস্ট্রেটরাও।সিলেট জেলা পরিষদের সংরক্ষিত ৫টি ওয়ার্ডে ১৭ জন নারী এবং ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ প্রার্থী মিলে দু’টি পদে মোট ৬৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এ নির্বাচনে ভোট প্রধান করছেন।সোমবার সকাল ৯টা থেকে জেলার (প্রত্যেক উপজেলা ও নগরে একটি করে) ১৩টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইলেকশন কমিশন নিয়েছে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা, গ্রহণ করেছে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে- প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৩ দিন করে নিয়োজিত রয়েছে সাত জনের ফোর্স। ভোটের আগে ও পরে থাকছেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও কয়েক প্লাটুন বিজিবি, র্যাব-এর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে।জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা জানান- সোমবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় অস্ত্রসহ পুলিশের তিন জন, অস্ত্রসহ আনসারের দুজন ও অঙ্গীভূত আনসারের দুজন সদস্য- এই মোট সাত জন দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তারা ভোটের আগে একদিন ও পরে একদিন ভোটকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব ও পরিস্থিতি অনুসারে জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে পুলিশ সুপার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ফোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে।নির্বাচন অফিসার শুকুর মিঞা আরও জানান- ভোটকেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই সিলেটের প্রতিটি ভোটকক্ষ এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চপর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে থাকছে টেকনিক্যাল টিম।উল্লেখ্য, সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।