ভারতের নয়াদিল্লিতে দুই দিনব্যাপী জি-২০ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।শেখ হাসিনা সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের কাছে তুলে ধরবেন।এদিকে, সম্মেলনের জন্য বিশেষভাবে সাজানো কনভেনশন সেন্টার ‘ভারত মণ্ডপমে’ বিশ্বনেতারা উপস্থিত হয়েছেন। প্রথম সেশনে ‘ওয়ান আর্থ’ বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর বিকেল ৩টা থেকে দ্বিতীয় সেশন শুরু হবে। সেখানে ‘ওয়ান ফ্যামিলি’ নিয়ে আলোচনা হবে।সম্মেলনে অংশ নিতে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ বিশ্ব নেতারা নয়াদিল্লি পৌঁছান।এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তাদের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।জি-২০ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা পরিচ্ছন্ন জ্বালানি স্থানান্তর, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইসহ বৈশ্বিক সমস্যাগুলো মোকাবিলায় বিভিন্ন যৌথ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন।এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়েও বিশ্ব নেতারা আলোচনা করবেন।এদিকে, সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ নয়টি দেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জোটটির চেয়ারম্যান ভারত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছান। এরপর সন্ধ্যায় দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন দুই নেতা।বৈঠক শেষে নরেন্দ্র মোদি এক টুইটে (বর্তমানে এক্স) জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই আনন্দদায়ক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযোগের মতো আরও অনেক বিষয় এসেছে।’
বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন মোদি। বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে দুই প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে ভোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানি না।দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলেও জানান আব্দুল মোমেন। সেগুলো হলো কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি, পারস্পরিক লেনদেন আরও সহজ করা।