সোভিয়েত পরবর্তী সময়ে জাপান সাগরে সবচেয়ে বড় নৌ-মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। চীনা যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি রুশ বহরের এই মহড়া দুই দেশের সামরিক সহযোগিতার একটি প্রচারণা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, চীনা যুদ্ধ জাহাজের পাশাপাশি রাশিয়া তাদের সামরিক জলবহর নিয়ে জাপান সাগরে মহড়া শুরু করেছে।
সোভিয়েত পরবর্তী যুগে (আধুনিক যুগ) বিরাট আকৃতির এ মহড়া রাশিয়া ও চীনের সামরিক শক্তির প্রচারণা। এমনিতেও এ দুই দেশ বৈশ্বিক শক্তিসমৃদ্ধ। চলমান মহগার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা প্রগাঢ় হয়ে উঠতে পারে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া ‘ওশান-২০২৪’ নামে এ মহড়া চলবে আগামী সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও আর্কটিক মহাসাগরের পাশাপাশি ভূমধ্যসাগর, কাস্পিয়ান এবং বাল্টিক সাগরে একযোগে অনুষ্ঠিত এ মহড়ায় অংশ নেবে চার শতাধিক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ও অন্যান্য সামুদ্রিক জাহাজ। প্রায় ১২০টি বিমান ও ৯০ হাজার জনের বেশি কর্মী এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
জাপান সাগরের নৌ-মহড়ায় চারটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি সরবরাহকারী জাহাজ পাঠিয়েছে চীন। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সপ্তাহান্তে পাঁচটি চীনা নৌ জাহাজ প্রবেশ করতে দেখেছে। জাহাজগুলো রাশিয়ার দিকে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মস্কো ও বেইজিং নিজেদের মধ্যে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে। নৌ-মহড়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এই মহড়ার উদ্দেশ্য হলো দেশের নৌ ও বিমান বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতির মূল্যায়ন করা। পাশাপাশি নিজেদের আন্তঃকার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা। এতে উচ্চ-নির্ভুল অস্ত্রের ব্যবহার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে রাশিয়ার সেনারা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, এই মহড়াগুলো তাতে কাজে লাগাবে।
মহড়ার উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসভও উপস্থিত ছিলেন।