জাতীয় গ্রিডে আকস্মিক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর সিলেটে বেড়েছে লোডশেডিং। গড়ে সিলেটে শতকরা ৩৩ ভাগ লোডশেডিং হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেট অঞ্চলের কয়েক লাখ গ্রাহক। মাসখানেক ধরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও গত ৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর সিলেটে প্রতিদিনই ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিÍতে রয়েছেন।লোডশেডিং এর কথা স্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির। তিনি জানান, গ্রিড লাইনে বিপর্যয়ের পর উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগে যেখানে দিনে ঘাটতি ছিল ২০ শতাংশ; এখন তা ক্ষেত্র বিশেষ ৪৫ শতাংশের মতো হয়ে গেছে। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে দ্রুত কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বিউবো সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জোনের ৮টি গ্রিডে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫৫৯ মেগাওয়াট। তবে সরবরাহ ছিল ৩৭৬ মেগাওয়াট।প্রাপ্ত বিদ্যুতের মধ্যে পিডিবিতে ১৪৭.৯ মেগাওয়াট এবং পল্লী বিদ্যুতে ২২৮.৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়। ঘাটতি রয়েছে ১৮৩ মেগাওয়াট। গড় লোডশেডিং শতকরা ৩৩ ভাগ। এর মধ্যে পিডিবিতে শতকরা ২৫ ভাগ এবং পল্লী বিদ্যুৎ শতকরা ৩৭ ভাগ লোডশেডিং রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে পল্লী বিদ্যুতে।প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে গত জুলাই মাস থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সময়সূচি নির্ধারণ করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৯ জুলাই থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করা হয়। দিনে দুই-তিন ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও তা মানা হয়নি তখন। সিলেটের অনেক জায়গায় দিনে ১২-১৩ ঘণ্টাও লোডশেডিং হতো সেসময়। সম্প্রতি এ পরিস্থিতির উন্নতি হলে গত ৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিডে আকস্মিক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে সিলেটে বেড়েছে লোডশেডিং।বিউবো সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আরো জানান, কুমারগাঁও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। কুমারগাঁও কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হলে জনদুর্ভোগ আরো লাঘব হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।