চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো কমেছে। এ সময়ে ১৫ জন নতুন বাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হারও কমে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ হয়েছে। আগের দিন ১৩১ নমুনা পরীক্ষায় কোভিডে আক্রান্ত চিহ্নিত হন ২০ জন। সংক্রমণ হার ছিল ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর নয় ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ১৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১২ জন ও উপজেলার ৩ জন। উপজেলার ৩ জনের মধ্যে রাউজান, হাটহাজারী ও সীতাকু-ে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ২৬১ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৪ হাজার ২৪৭ জন এবং গ্রামের ৩৫ হাজার ১৪ জন। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বেসরকারি পরীক্ষাগার ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৩ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৩ নমুনায় গ্রামের একজনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৬ জনে শহরের ২ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৮ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ২ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। এছাড়া, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১১, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৪, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৮ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পাঁচ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৪৭ নমুনার একটিতেও ভাইরাস শনাক্ত হয়নি।এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬ দশমিক ৯৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৭ দশমিক ৬৯, এপিক হেলথ কেয়ার ১৫ দশমিক ৩৮, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং আরটিআরএল, শেভরন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। এন্টিজেন টেস্টে এ হার ছিল ২৫ শতাংশ।