সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাতলপাড় থেকে নুরজহান (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে ঐ গ্রামের সুহেল আহমদের স্ত্রী। বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্ত কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই শরিফুল ইসলাম জানায়, নিহত নুরজাহানের স্বামী সুহেল আহমদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি- মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২টার মধ্যে কোন এক সময় নুরজাহান গলায় ফাঁস দেয়। রাত ২টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি- ঘরের ভিতর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে নুরজাহান। পরে বাড়ির লোকজন মিলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে বিছানায় নামানো হয়। দুপুর ১২টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত নুরজাহানের ভাই বিলাল জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় আমার বোনের স্বামী ফোন দিয়ে বলে নুরজাহান আর নাই। এ খবর শুনে আমরা সাথে সাথে সেখানে যাই। গিয়ে আমরা নুরজাহানের লাশ বিছানায় দেখতে পাই। এর আগে নুরজাহানের স্বামীর বাড়ির লোকজন ৪ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য আমার বোনকে চাপ দিচ্ছিল। এ ঘটনায় আমার বোনকে আমরা স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আসছিলাম। এর মধ্যে আমার বোনের একটি সন্তান হয়। সন্তান হওয়ার পর কোরবানীর ঈদের পনের দিন পরে নুরজাহানের স্বামীর বাড়ির লোকজন সালিশ বিচারের মাধ্যমে আমার বোনকে তারা নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দিনে আমার বোন খবর পাঠিয়েছিল যাতে তাকে বাপের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। যেদিন খবর পাঠিয়ে ছিল ঐ রাতেই তার স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে মেরে ফেলেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বদিউজ্জামান বলেন, লাশের পোস্টমর্টেম করে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে লাশের গলায় ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।